পাতা:দূর্গাপুজার বলি ও জীব বলি.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*R দুর্গাপূজার বলি ও হয়ত কেহ কেহ বলিবেন, “দু দশটা ছাগ মেষ কাটায় তোমার এমন অরণ্যে রোদনের ঢঙ্গ কেন ? হিংসা জগতের নিয়ম, ক্ষুদ্র জীবকে নাশ করতঃ বড় জীব তিষ্ঠিতেছে; কত রকমে জীবহিংসা আমাদিগকে করিতেই হইতেছে, এড়াইবার উপায় নাই। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে আমরা কোটি কোটি জীব নাশ করিতেছি ; পানীয় জলের সঙ্গে পৰ্য্যন্ত সংখ্যাতীত জীবকে ধ্বংসপুরে পাঠাইতেছি।” এমন সব কথা যাহারা বলেন, তঁহাদের কি বুঝাইয়া দিতে হইবে -জানতঃ ও অজানতঃ হিংসায় তফাৎ বিস্তর ? তাঁহাদের কি মনে হয় না, চক্ষুর অগোচর ক্ষুদ্র কীটাৰ্ণ বা মশামৎকুণ বধে আর ধড়ফড় করিতেছে এমন জলজীয়ন্ত বৃহৎ প্ৰাণী বন্ধে প্ৰভেদ আছে ? কিন্তু এ জাতীয় হিংসার তর্ক আমার উদ্দেশ্য নহে। নেপথ্যে বলিয়া রাখি, হিংসাকারীর নিবারণ জন্য হিংসা অধৰ্ম্ম নহে - কিন্তু সে স্বতন্ত্র কথা । কেহ কেহ হয়ত দেখাইয়া দিবেন-মৃগয়ায় কত জন্তু হনন করা হইতেছে; যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ সংহার করা হইয়া থাকে। কিন্তু অনুগ্রহ পূর্বক মনে রাখিবেন, জীবহিংসা মাত্ৰই আমার আলোচ্য বিষয় নহে। দেবতার বলি-গৃহে গৃহে আপনারা যে জগদম্বার পূজা করেন, সেই পূজার অঙ্গের কথা লইয়া আজ আমি আপনাদিগকে বিরক্ত করিতে আসিয়াছি। মৃগয়া যাহার স্বধৰ্ম্ম, মৃগয়া তাহাকে করিতে হইবে ; যুদ্ধ যাহার স্বধৰ্ম্ম, যুদ্ধে প্ৰাণহানি তাহাকে করিতে হইবে। সে কথার আলোচনার জন্য আজ আমি আপনাদের সময় নষ্ট করিতে আসি নাই।*

  • এই হিসাবে যাহা দেয় শরীর রক্ষা বা সেইরূপ কোন কারণ জন্য মাংসভক্ষণ। “আবশ্যক, ষ্ঠাহীদের নিমিত্ত জীব হত্য চলে ; কিন্তু সে স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানের 夺时一国t内恼 আলোচ্য বিষয়ের বাহির। শাস্ত্রে ইহার বিধিও মিলে। \, (তবে, প্ৰায়শ্চিত্ত করিতে পারিলে ধৰ্ম্মশান্ত্রকারগণ খুলী । ) একটা তত্ত্ব জানাস্তিক শুনাইয়া রাখি ; স্মৃতি-শান্ত্রে ধ্ৰুষ্ট হয়-“ইহলোকে আমি যাহার মাংস ভোজন করিতেছি, পরলোকে আমাকে সে।

{ মাসঃ), ভক্ষণ করিবো-পণ্ডিতেরা মাংস শব্দের এইরূপ নিরুক্তি কছিয়া থাকেন।