পাতা:দূর্গাপুজার বলি ও জীব বলি.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औद-वि ክ” ዓ፧ শুনিতে পাই,-সাংখ্যদর্শনের মতানুসারে ( পুরুষের সহিত ) প্ৰকৃতিরও প্রাধান্য প্রচারই তন্ত্রশাস্ত্রের উদ্দেশ্য। তাহাই যদি হয়, প্ৰাধান্য প্রচারের এ কি জঘন্য উপায়-যাহার জন্য শ্ৰেষ্ঠ সাধককে গভীর নিশীথে গৃহদ্বার রুদ্ধ করিয়া ইষ্টদেবীর সাধনা করিতে হয়। ধৰ্ম্মের নামে কি অনাচার } আর একটা মত শুনাই৷-“তন্ত্রশাস্ত্ৰকে আমরা যোগশাস্ত্রের ও সাংখ্যদর্শনের একত্ৰিনিস্পন্ন অতিবিকৃত কীট-পরিপূর্ণ কলমের চারা বলিয়া সময়ে সময়ে বিবেচনা করি ........সেই বৃক্ষে কালে যে বিষময় ফল ফলিয়াছিল, তাহা বৰ্ণনা করা যাইতে পারে না । ( বঙ্গদর্শন, আশ্বিন ১২৭৯ ) তন্ত্রেব উদ্ভব বঙ্গদেশে এবং তন্ত্রশস্ত্রের প্রাবল্য বাঙ্গালীর মধ্যেই হইয়াছিল -এ কথা বহু বিচক্ষণ ব্যক্তি বলিয়াছেন । ভারতবর্ষেব অপরাপর স্থানেও যে তান্ত্রিক সম্প্রদায় নাই, এমন নিতে ; কিন্তু এষ্ট চি ব-পরাধীন বাঙ্গালীর উদ্যমহীন স্বভাবের সহিত তন্ত্রশস্ত্রের ‘আকর্ষণ” “বশীকরণ” “মারণ” “উচ্চাটন” প্ৰভৃতি ঠিক খাপ খাইয়াছিল মনে হয় । অনেক তত্ত্ববিদ সুধীর মত—বঙ্গদেশ মুসলমানগণের অধীন হইবার পর, বাঙ্গালীর মধ্যে তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের প্রাদুর্ভাব হইয়াছিল । * ( মূল কতকটা প্রাচীন মানিয়া লওয়া চলে।) মন্দ নহে, মাংস অর্থে পশুমাস নহে, মৈথুন অর্থে স্ত্রী-পুরুষ-সঙ্গম নহে-ঐ সকলের আধাত্মিক অর্থ আছে-দোষ-পরিশূন্য। অতি উত্তম। জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি, কয় জন তান্ত্রিক সেই আধ্যাত্মিক অর্থ অনুসারে কাজ করিয়া থাকেন ?

  • মনস্বী ভূদেব মুখোপাধ্যায় বাবু বলিয়াছেন।--“তন্ত্রগুলির প্রকৃতি দেখিলেই বুঝিতে পারা যায় যে যখন এদেশে অন্যজাতীয়ের আদিয়া আমাদিগকে পরাধীন করিয়া,