আমি ভাবলাম, বাৱে ! এতে আর হয়েচে কি ? জলি যদি লেগেই থাকে, দু-চার ফোঁটা লেগেচে৷ বই তো নয় ? জ্যাঠাইমাকে বললাম।--জল তো ওতে লাগেনি জ্যাঠাইমা, আর যদিও একটু লেগে থাকে, এখনও রোদ রয়েচে, এক্ষুনি শুকিয়ে যাবে’খন। বুড়ী বললে-শোন কথা ; ও ছোড়ার জ্ঞান-কাণ্ড একেবারেই নেই-একেবারে মেলেছে। -ওর মাও তাই। হিন্দুয়ানি তো শেখেনি কোনোদিন-- --তোমরা শোন মাসী, আমি শুনে শুনে হদ হয়ে গিয়েচি। ঘরে ঠাকুর রয়োচেন, আর এই সব অনাচার কি ক’রে বরদাস্ত করি বল তো তুমি ? আমার কোনো ছেলেমেয়ে ওরকম করবে ? অত বড় ধাড়ী ছেলে হ’ল, মুড়ির বাটিতে জল ঢাললে যে সকড়ি হয় সেও জানে না ! শুনবে কোথা থেকে, মেলেচ্ছে খিরিস্টানের মধ্যে এতকাল কাটিয়ে এসেচে, ভালো শিক্ষে দিয়েচে কে ? হিন্দুর বাড়িতে কি এ সব পোষায় ? বল তো তুমি বুড়ী বললে-ওর মা জানে না তা ও জানবে কোথা থেকে ? সেদিন ওর মা করেচে। কি, পুকুরঘাটে তো বড় নৈবিস্থির বারকোশখানা ধুতে নিয়ে গিয়েচে-যেদিন ঠাকুর এলেন ( বুড়ী দু-হাত জোড় ক’রে নমস্কার করলে ) তার পরের দিন-আমি দাড়িয়ে ঘাটে, কাপড় কোচে যখন উঠলি তখন ধোওয়া বারকোশখান। আর একবার জলে ডুবো-ন ডুবিয়েই আমনি উঠিয়ে নিয়ে যাচ্চে। আমি দেখে বলি, ও কি কাণ্ড বউ ? ভাগ্যিস দেখে ফেললাম। তাই (○iー→ মায়ের দোষ দেওয়াতেই হোক, বা আমাকে আগের ওই-সব কথা বলতেই হোক, আমার য়াগ হ’ল। তা ছাড়া আমার মন বললে এতে কোন দোষ হয়নি-মুড়ির বাটিতে জল ঢালার দরুনে মুড়ির বাটি অপবিত্র হবে কেন ? মা বারকোশ ঘুয়ে জলের ধারে রেখে স্নান সেরে উঠে যদি সে বারকোশ নিয়ে এসে থাকেন, তাতে মা কোন অন্যায় কাজ করেননি । বললাম-ওতে দোষ কি জ্যাঠাইমা, মুড়িও খাবার জিনিস, জলও খাবার জিনিস-দুটোতে মেশালে খারাপ হবে কেন, ছুতে থাকবেই বা না কেন ? -- জ্যাঠাইমা অগ্নিমূত্তি হয়ে উঠলেন-তোর কাছে শাস্তর শুনতে আসিনি, ফাজিল ছোড়া কোথাকার-তোরা তো খিরিস্টান, হিন্দুর আচারব্যাভার তোৱা জানিস কি, তোর মা-ই বা জানে কি ? ওইটুকু ছেলে গল টিপলে দুধ বেরোয়, উনি আবার আমায় শান্তর বোঝাতে আসেন ! শিখবি কোথেকে, তোর মা তোদের কি কিছু শিখিয়েচে, না কিছু জানে ? পয়সা রোজগার করেচে। আর দু-হাতে উড়িয়েচে তোর বাবা-মদ খেয়ে খিরিস্টানি CTS বুড়ী বললে-মোলোও সেই রকম। যেমন-ঘেমন কৰ্ম্মফল তেমন-তেমন মিত্যু! দশোধন্মে দেখলে সবাই, যে কম্মের যে শান্তি-ঘর থেকে মড়া বেরোয় না, ও-পাড়ার হরিদাস না এসে è o
