পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানতাম না। আপনাকে, তখন তো বয়সও আমার কম ছিল । বড়দি তার পর বলেছি { একটা কথা রাখবেন ? চিঠি দেবেন। একখানা ? অন্ততঃ একখানা লিখে খবর জানাবেন । ছোট-বৌঠাকরুন আগের চেয়ে সামান্য একটু মোটা হয়েছেন, আর চোখে সে বালিদ সুলভ তরল ও চপল দৃষ্টি নেই, মুখের ভাব আগের চেয়ে গম্ভীর। আমি হেসে বললাম-অ’ চিঠি না দিলেও, শৈলদির কাছ থেকেই তো জানতে পারবেন খবরা এই সময় ওঁর মেজদাদা ট্যাক্সিতে চডে এসে হাজির হ’লেন । আমি বিদায় নিলুম। সন্ধ্যার সময় আটঘরা পৌছে দেখি সত্যিই মায়ের অসুখ । আমাদের ঘরখানায় মে.ে ওপর পাতা বিছানায় মা শুয়ে । অন্ধকারে আমায় চিনতে না পেরে ক্ষীণস্বরে বললে- ৫ éथंi८न, शब्र' ? তারপর আমায় দেখে কেঁদে উঠে বললেন-কে জিতু, আয় বাবা আয়, এতদিন পা মাকে মনে পড়লো তোর ? আয় এই বালিশের কাছে আয়-ওম, এ কি হয়ে গিয়েছিস ংে রোগা কালো চেহারা-ওৱা সত্যিই বলত তো । মা একটি ঘরে শুয়ে-জনপ্ৰাণী কেউ কাছে নেই। সন্ধ্যা হব-হব, ঘরে একটা আ.ে পৰ্য্যন্ত কেউ জ্বলেনি। এমনিই বাডি বটে! কেন, এত ছেলে মেয়ে বৌ বাড়িতে, একত্ব কাছে থাকতে নেই ? অথচ-, কিন্তু পরের দোষ দিয়ে লাভ কি, আমিই বা কোথায় ছিল এতদিন ? বললাম--মা, দাদা কোথায় ? সীতা আসেনি ? মা নিঃশব্দে কঁদিতে লাগলেন। বললেন-ওরা কেউ চিঠি দেয় না, ব’লে ব’লে আজ বু হারু একখানা পত্র দিয়েচে সীতাকে । -ক’দিন অসুখ হয়েচে তোমার, মা ? ওরা কেউ দেখে না ? জ্যাঠাইমা কাকিম আসে না ? ১. -ভুবনের মা মাঝে মাঝে আসে। এই বিকেলে সাৰু দিয়ে গেল-তা সাবুকি খে। পারি, ওই রয়েচে বাটিতে। ছোটবৌ এসেছিল বিকেলবেলা। বটুঠাকুর বাড়ি নেই বুঝি আর কেউ এদিকে মাড়ায় না । তারপর আমার গায়ে হাত বুলিয়ে বললেন-হঁ্যারে জিতু, তুই নাকি সমিসী হয়ে গিয়েf --দিদি, হারু, মেজবোঁ, ঠাকুরপােৱা সবাই বলে—সত্যি ? বলে সে আর আসবে না, কোন দিকে বেরিয়ে চলে গিয়েচে, তার ঠিকানা কেউ জানে না। আমি ভাবি জিতু আম ভুলে যাৰে এমান হবে ? আবার ভাবি আমার কপাল খারাপ নইলে এ-সব হবেই বা কেন VIR NE VS Geff GW effkvis Aà è e