পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{াব, তোমার সংসার তুমি দেখবে। দাদা চুপ ক’রে রইল। বিকেলে দাদার ওয়ার্ডে ঢুকবার আগে মনে হ’ল দাদা ত বিছানাতে বসে নেই। গিয়ে দেখি দাদা আগাগোড়া কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। মাথার কাছে চার্টে দেখি জর উঠেছে। ১০৪ ডিগ্রীর ঘরে। পাশের বিছানার রোগী বললে-আপনি চলে যাবার পরে খুব জর এসেছে। কোন কথা বলতে পারেন নি, আপনি আসবার আগে ডেকেছিলাম, সাড়া পাই নি । সেদিন সারাদিন তেমনি ভাবে কেটে গেল। পরদিনও তাই, দাদার জ্ঞান আর ফিরে এল না-জােরও কমল না, পরদিন রাত্রে আমি রোগীর কাছে রইলাম। ও কি বর্ষা সে রাত্রে! ঘনকৃষ্ণ শ্রাবণের মেঘপুঞ্জে আকাশ ছেয়ে গিয়েছে, নির্নিরীক্ষ্য অন্ধকাৱে কোথাও একটা তারা চোখে পড়ে না। একখানা বই পড়ছিলাম দাদার বিছানার BDB DES SDDB DDBD gDBDBDB D S TY SS S BD BBBDBD BDDDYLg BDBD খাবাপ-একবার রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসারকে ডাকাও ৷ ডাক্তার এল, চলেও গেল । রাত তখন দেড়টা। বাইরে কি ভীষণ মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে। আকাশ ভেঙে পড়বে বুঝি পৃথিবীর ওপরে-সৃষ্টি বুঝি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। একজন ছাত্র এসে রোগী দেখে বললে— ইনজেকসন দিতে হবে। আমি বললাম-বেশ দিন-- তারপর আমি বাইরে এসে দাড়া লুম। ঘন মেঘে মেধে আকাশ অন্ধকার। হাসপাতালের বারান্দাতে কুলিরা ঘুমুচ্ছে। টটেনাস্ ওয়ার্ড থেকে অনেকক্ষণ ধরে আওঁ পশুর মত চীৎকার শোনা যাচ্ছে-একবার সেটা থামছে, আবার জোরে জোরে হচ্ছে । সামনের ওয়ার্ডে মেম সার্সটা ঘুরে বেড়াচ্ছে বারান্দাতে । বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হেড লাইট জালিয়ে একখানা মোটর এসে ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়াল । সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট তদারক করতে এসেছেন । দাদাকে তিনি দেখলেন । নাসকে কি বললেন। ছাত্রটিকে ডেকে কি জিজ্ঞেস করলেন। ছাত্রটি আর একটা ইনজেকসন দিলে। রাত আড়াইটে । বৃষ্টি আবার শুক হয়েছে। হাসপাতালের বারান্দার ওদিকের আলোগুলো নিবিয়ে দিয়েছে- অনেকটা অন্ধকার । দাদার সঙ্গে অনেক কথা বলবার ইচ্ছে হছিল। ছেলেবেলাকার কথা, দাজিলিঙের কথা । pই আমরা কার্ট রোড ধ’রে উমাপ্লাঙের মিশন-হাউস পৰ্য্যস্ত বেড়াতে যৌতুম, মনে আছে სუ! একদিন থাপা তোমাকে কাদার পুতুল গড়িয়ে দিয়েছিল। মুরগীর ঘরে লুকিয়ে তুমি আমি মিছরি চুৰি ক’রে শরবৎ খেতুম ? তুমি দোকান করলে আটঘরাতে বাবা মারা re-er-33