পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|ার চোখ খুলে রাখতে পারি নে। মধ্যে নাস দুবার এল, আমি তা ঘুমের ঘোরেই জানি[মায় জাগালে না। পা টিপে টিপে এল, পা টিপেই চলে গেল। হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল। ভোর হবাৱ দেরি নেই, হাসপাতালের আলো নিম্প্রভ গ্ল এসেছে-কিন্তু ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢাকা, দিনের আলো যদিও একটু থাকে, বোঝা চ্ছে না। দাদার খাটের দিকে চেয়ে আমি বিস্ময়ে কেমন হয়ে গেলাম। এখনও ঘূমিয়ে প্ন দেখছি নাকি ? দাদার খাটের চারি পাশে অনেক লোক দাড়িয়ে । অৰ্দ্ধচন্দ্ৰাকারে ওরা দার খাটটাকে ঘিরে দাড়িয়েছে। শিয়রের কাছে মা, ডানদিকে বাবা, বাবার পাশেই টঘরার সেই হীরু রায়-স্যালাইনের টিনটিা যেখানে ঝোলানো, সেখানে দাড়িয়ে আমাদের বাগানের নেপালী চাকর থাপা, ছেলেবেলায় দাদাকে যে কোলেপিঠে ক’রে মানুষ ছিল । তার পরই আমার চোখ পড়ল খাটের বঁা-দিকে, সেখানে দাড়িয়ে আছে ছোট কীমার মেয়ে পানী । এদের মূৰ্ত্তি এত সুস্পষ্ট ও বাস্তব যে একবার আমার মনে হ’ল দর সকলেই দেখছে বোধ হয়। পাশের খাটের রোগীর দিকে চেয়ে দেখলুম, সে যদিও গৈ আছে এবং মাঝে মাঝে দাদার খাটের দিকে চাইছে-কিন্তু তার মুখ-চোখ দেখে বোঝা ছিল মুমূর্ষু দাদাকে ছাড়া সে আর কিছু দেখছে না। অথচ কেন দেখতে পাচ্ছে না, এত ষ্ট, প্ৰত্যক্ষ, সজীব মানুষগুলোকে কেন যে ওরা দেখে না-এ ভেবে ছেলেবেলা থেকে আমার যুয়ের অন্ত নেই । আমি জানি এসব কথা লোককে বিশ্বাস করানো শক্ত। মানুষ চোখে যা দেখে না, ক্তিগত অভিজ্ঞতায় যা পারে না-ত বিশ্বাস করতে সহজে রাজী হয় না। এই জন্যে হাসতালের এই রাত্রিটির কথা আমি একটি প্ৰাণীকেও বলি নি কোনদিন । দু-তিন মিনিট কেটে গেল। ওরা এখনও রয়েছে। আমি চোখ মুছলাম, এদিক-ওদিক ইলাম -চোখে জল দিলাম উঠে। এখনও ওরা রয়েছে। ওদের সবারই চোখ দাদার টের দিকে। আমি ধীরে ধীরে উঠে গিয়ে পানীর কাছে দাঁড়ালাম। ওরা সবাই হাসিমুখে |মার দিকে চাইলে । কত কথা বলব ভাবলাম মাকে, বাবাকে, পানীকে-থাপা। কবে মারা DDBD BDL DJSDD SgDDLL BBBD DDDBDB DBDDB B AYBD D BBB DBDBSBDYS গ্ৰন্থ মুখ দিয়ে আমার কথা বেরুল না। এই সময়ে নাস এল। আমি আশ্চৰ্য্য হয়ে ভাবছি DD BTBDB GEBLDB KBDB B S g BDB BDB gD gEB uLLSS DD DDDD LLD বে এল যেন আমি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। দাদার মুখের দিকে চেয়ে বললে-এ হয়ে গিয়েচে-এ কুলি, কুলি কুলি খাটটাকে ঘেরাটোপ দিয়ে ঢেকে দিতে এল। VENES ve t • • • Spe