পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। একুশ দিন কেটে গেল। দিনের রাতের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি যেন, কখন রাত কখন দিন বুঝতে পারি। নে সব সময়। মাঝে মাঝে চোখ মেলে দেখি বাইরের রোদ একটু একটু [রে এসেছে, তখন বুঝি এটা দিন। বিছানার ওপাশটা ক্ৰমশঃ হয়ে গেল বহুদূরের দেশ, আফ্রিকা কি জাপান, ওখানে পৌছনো আমার শরীর ও মনের শক্তির বাইরে । অধিকাংশ সময়ই ঘোর-ঘোর ভাবে কাটে-সে অবস্থায় যেন কত দেশ বেড়াই, কত জায়গায় যাই । যখন যাই তখন যেন আর আমার অসুখ থাকে না, সম্পূর্ণ সুস্থ, আনন্দে মন ভরে ওঠে, রোগপষ্যা স্বপ্ন ব’লে মনে হয়। ছেলেবেলাকার সব জায়গাগুলোতে আবার গেলাম যেন, আটঘৱায় বাড়িও বাদ গেল না । হঠাৎ ঘোর কেটে যায়, দেখি কুলদা ডাক্তার বুকে নল বসিয়ে পরীক্ষা कबूछ । একবার মনে হ’ল দুপুর বী-বী করছে, আমি দ্বারবাসিনীতে যাচ্ছি। খুকীকে কোলে নিয়ে। দুৰ্গাপুরের ডাঙা পার হয়ে গেলাম, আবার সেই কঁদোড় নদী, সেই তালবন, রাঙা মাটির পথ। মালতী বড় ঘরের দাওয়ায় বসে কি কাজ করছে। উদ্ধবদাস আমায় দেখে চিনলে, কাছে এসে বললে-বাবুযে-কি মনে ক’রে এতদিন পরে ? আপনার কোলে ও কে ? মালতী কাজ ফেলে মুখ তুলে দেখতে গেল উদ্ধবদাস কার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা কইছে। তারপর আমায় চিনতে পেরে অবাক ও আড়ষ্ট হয়ে সেইখানেই বসে রইল। আমি এগিয়ে দাওয়ার ধারে গিয়ে বললাম। --তুমি কি ভাববে জানিনে মালতী, কিন্তু আমি বড় বিপদে পড়েই এসেছি। এই ছোট খুকী আমার দাদার মেয়ে, এর মা সম্প্রতি মারা গিয়েছে। একে বঁচিয়ে রাখবার কোন ব্যবস্থা আমার মাথায় আসে নি। আর আমার কেউ নেই-একমাত্র তোমার কথাই মনে হ’ল, তাই একে নিয়ে তোমার কাছে এসেছি । একে নাও, এর সব ভার আজ থেকে তোমার ওপর । তুমি ছাড়া আর কারও হাতে একে দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত হ’তে পারব না। মালতী তাড়াতাড়ি খুকীকে আমার কোল থেকে তুলে নিলে। তার পর আমার রুক্ষ চুল ও উদভ্ৰান্ত চেহারার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইল। পরীক্ষণেই সে দাওয়া থেকে নেমে এসে বললে-আপনি আসুন, উঠে এসে বসুন। আখড়ায় আর যেন কেউ নেই। উদ্ধবদাসকেও আর দেখলাম না। শুধু মালতী আর আমি । ও ঠিক সেই রকমই আছে--সেই হাসি, সেই মুখ, সেই ঘাড় বঁকিয়ে কথা বলার अत्रिं ।। ८८ ब्व्-ऊद्मश्रद्म । আমি বললাম--তারপর আর কি ? এই এলাম । -qउनि 6यांथोंश् छिलन ? SSSu GSL S LDDtBD L D BBBS LBDDO LLGLLL LLLLLLLD BDLDD BDKSS -e:, कि नेिईम यानि ! y