পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুতরাং তিনি বড় বিপদে পড়েছেন, আমি যদি ব্ৰাহ্মণের এ দায় উদ্ধার না করি। তবে তিনি কালীকান্ত গাঙ্গুলী, সম্পূর্ণ নিরূপায়। আমার কি মত ? আমি আর কিছুই ভাবলাম না, ভাবলাম কেবল হিরন্ময়ীর আশাভাঙা চোখের চাউ:ি আর তার শুকনো মুখ, সেদিন যখন জিনিসপত্র বঁধিছি সেই সময়কারের। একদিন হিরন্ময়ী বললে--একটা কথা শোন। যেদিন তুমি প্ৰথম পাঠশালাতে পড়াতে এলে, আমি তোমার কাছে গেলাম, সেদিন থেকে তোমায় দেখে আমার কেমন লাজ করত। সেই জন্যে কাছে বসতে চাইতাম না । তার পর তুমি একদিন রাগ করলে, তাতে আমার ! খুব রাগ হ’ল । তুমি তার পর বললে-আমাদের গা ছেড়ে চলে যাবে। সেদিন ভয়ে আমা" প্ৰাণ উড়ে গেল। এত কান্না আসতে লাগল, কান্না চাপতে পারি নে, পাছে কেউ টের পায় ছুটে পেছনের সাজ-নেতলায় চলে গেলাম। সব যেন ফঁাকা হয়ে গেল মনেব মধ্যে । উঃ মাগে সে যে কি দিন গিয়েছে ! হিরন্ময়ী গুছিয়ে কখা বলতে শেখে নি এখনও । - ভগবান জানেন বিয়ের সময় কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলুম। সপ্তসমূদ্র পারেব কো দেশে অনেক দূরে এই সব সন্ধ্যার অস্পষ্ট অন্ধকারে এখটি হাস্যমুখী তন্থী কিশোরী প্ৰদীপ হাতে ভাঙা বিষ্ণুমন্দিরে সন্ধ্যা দেখাতে যেত কত যুগ আগে-পুকুবপাডের তমালবনেব আড়ালে তা সঙ্গে সেই যে সব ক'ত সুখ-দুঃখের কাহিনী, কত ঠাকুর-দেবতার কথা, সে সব সত্যি ঘটেছিল। না। স্বপ্ন ? কোথায় গেল সে মেয়েটি ? আর তাকে তেমন ক’রে তো চাই না ? যেন কং দূৱ-জন্মে তার সঙ্গে সে পরিচয়ের দিনগুলো কালের কুয়াশায় অস্পষ্ট হয়ে এসেছে-তাকে যে চিনি, চিনি, চিনি না । কেন তার স্মৃতিতে মন আর নেচে ওঠে না ? কোথায় গেল সে-স नि, cन्न-म ॐौ-cश्न! नक्Ji ? বছরখানেক পরে একদিন রাণাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফৰ্ম্মে দাড়িযে আছি। মুর্শিদাবাদে ট্রেন থেকে অনেকগুলো বৈষ্ণব নামলো। তারা যাবে খুলনার গাড়িতে। তাদের মধ্যে একজনকে পরিচিত। ব’লে মনে হ’ল । কাছে গিয়ে দেখি দ্বারাবাসিনীর আখড়ার সেই নরহার্চ বৈরাগী-যে একবার জীবগোস্বামীর পদাবলী গেয়েছিল। সে পয়লা নম্বরের ভবঘুরে, মা.ে মাঝে আখড়ায় আসত, আবার কোথায় চলে যেত। নরহরিও আমায় চিনলে, প্ৰণাম ক’ৈ বললে-এখানে কোথায় বাৰু? এটা কি দেশ নাকি ? আপনি তো অনেক দিন দ্বারবাসিন যান নি ? আর যাবেনই বা কি, সব শুনেছেন বোধ হয়, আখড়া আর সে আখড়া নেই দিদিঠাকুরুণ মারা যাওয়ার পরে -cy f. Sh