পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবার মূৰ্ত্তি হয়েছে দেখতে অদ্ভূত। রাত্রে না ঘুমিয়ে চোখ বসে গিয়েছে-চোখের কোণে কালি মেড়ে দিয়েছে যেন ; সর্বাঙ্গে তুলে মেখে বাবা সেই রাতের বিছানার ওপরেই বসে আপন মনে কত কি বকছেন। ছেলেপিলের দল এপাড়া-ওপাড়া থেকে এসেছে। তারা ঘরের দোরে ভিড় ক’রে দাড়িয়ে । কেউ বা উকি মেরে দেখচে-হাসাহসি করচে। আমাদের সঙ্গে পড়ে এই পাড়ার নবীন বািড়য্যের ছেলে শান্টি-সে একবার উকি মেরে দেখতেই বাবা তাকে কি একটা ধমক দিয়ে উঠলেন। সে ভান-করা ভয়ের সুরে ব’লে উঠল-ও বাবা ! মারবে নাকি ? বলেই পিছিয়ে এল । ছেলের দলের মধ্যে একটা হাসির ঢেউ পড়ে গেল । একজন বললে -আবার কি রকম ইংরিজি বলছে দ্ব্যাখআমি ও সীতা কাঠের পুতুলের মত দাড়িয়ে আছি। আমরা কেউ কোন কথা বলচি নে । আর একটু বেলা হ’লে জ্যাঠামশায় কি পরামর্শ করলেন সব লোকজনের সঙ্গে-আমার মাকে উদ্দেশ ক’রে বললেন-বেীমা, সবই তো দেখতে পাচ্চ-তোমাদের কপাল ছাড়া আর কি বলব। ভূষণকে এখন বেঁধে রাখতে হবে।--সেই মতই সবাই করেছেন। ছেলেপিলের DDYKDB BDBDBBDDB BDYiLDBBDD DDBDBB BD DB DBB BBBS BD BDBD DD DSDkeS তোমায় একবার বলাটা দরকার তাই আমার মনে বড় কষ্ট হ’ল-বাবাকে বাধবে কেন ? বাবা তো এক বকুনি ছাড়া আর কারুর কিছু অনিষ্ট করতে যাচ্ছেন না-কেন তবে আমার মনের ভাষা বাক্য খুঁজে পেলে না প্ৰকাশের-মনেই রয়ে গেল। বাবাকে সবাই মিলে বাধলে ! আহা, কি কষে কযেই বঁধলে । অন্য দড়ি কোথাও পাওয়া গেল না বা ছিল ন-জ্যাঠামশায়দের খিড়কি-পুকুর ধারের গোয়াল-বাড়ি থেকে গরু বঁাধবার দড়ি নিয়ে এলতাই দিয়ে বাধা হ’ল । আমার মনে হ’ল অতটা জোর ক’রে বাবাকে বঁধবার দরকার কি ! বাবার হাতের শি। দড়ির মত ফুলে উঠেছে যে। সেজ কাকাকে চুপিচুপি বললুম-কাকাবাবু, বাবার হাতে লাগচে অতি ক’রে বেঁধেচে কেন ? বলুন না। ওদের ? কাকা সে-কথা জ্যাঠামশায়কে ও নিতাইয়ের বাবাকে বলতে তঁরা বললেন—তুমিও বি খেপলে নাকি রমেশ ? হাত আলগা থাকবে পাগলের ?•••তা হলে পা খুলতে কতক্ষণ-তার পরে আমার দিকে চেয়ে জ্যাঠামশায় বললেন-যাও জিতু বাবা-তুমি বাড়ির ভেতরে যাওনয়তো এখন বাইরে গিয়ে বসে । আবার বাবার হাতের দিকে চেয়ে দেখলুম-দড়ির দাগ কেটে বসে গিয়েছে বাবার হাতে সেই রকম তুলোমাখা অদ্ভুত মূৰ্ত্তি !••• ' - هـ