এই বৰ্ত্তমান দুরবস্থার জন্য বাবাকে আমরা মনে মনে দায়ী করেছি। বাবা কেন আবার ভাল হয়ে সেরে উঠুন না ? তা হ’লে আর আমাদের কোনো দুঃখই থাকে না। কেন বাবা ওরকম পাগলামি করেন ? ওতে লজ্জায় যে ঘরে বাইরে আমাদের মুখ দেখাবার জো নেই। সেদিন সকালে সেজ খুড়ীমা এসে আমাদের সঙ্গে খুব ঝগড়া বাধ্যালেন। মেজ খুড়ীমাও এসে যোগ দিলেন। তাদের বাগানে বাতাবী নেবু। গাছ থেকে চার-পাঁচটা পাকা নেবুচুরি গিয়েছে। খুড়ীমা এসে মাকে বললেন—এ আমাদেরই কাজ-আমরা খেতে পাইনে, আমরাই নেবুচুরি ক’রে ঘরে রেখেছি। তারা সবাই মিলে আমাদের ঘর খানাতল্লাসী করতে চাইলেন। মা বললেন-এসে দেখে যান মেজদি, আমার ঘরে তো লোহার সিন্দুক নেই যে সেখানে আমার ছেলেমেয়ের নেবুলুকিয়ে রেখেছে--- এসে দেখুন শেষ পৰ্য্যন্ত বাবা ঘরে আছেন ব’লে তঁরা ঘরে ঢুকতে পারলেন না, কিন্তু সবাই ধরে নিলে ষে নেবু আমাদের ঘরে আছে, খানাতল্লাসী করলেই বেরিয়ে পড়ত। খুব ঝগড়াঝাটি হ’ল- তবে সেটা হ’ল একতরফা, কারণ এ-পক্ষ থেকে তার জবাব কেউ দিল না । জ্যাঠাইমা এ বাড়ির কত্রী, তঁাকে সবাই মেনে চলে, ভয়ও করে। তিনি এসে বললেনD BDBBD DD BBBD BB BDGS DDB DBB DODD LD সীতা এসে আমাকে বলল-জ্যাঠাইমা এবার বাড়িতে আর থাকতে দেবে না, না দেবে। না দেবে, আমরা কোথাও চলে যাই চল দাদা । দিন-দুই পরে জ্যাঠামশাইদের সঙ্গে কি একটা মিটমাট হ’ল। ঠিক হ’ল ষে দাদা চাকরির যোগাড় করতে কলকাতায় যাবে, ঘরে আমরা আপাততঃ কিছুকাল থাকতে পাব। কিন্তু বাড়ির ও পাড়ার সবাই বললে পাগলাটাকে আর বাড়ি রেখে দরকার নেই, ওকে জলেজঙ্গলে কোথাও ছেড়ে দিয়ে আয় । সত্যি কথা বলতে গেলে বাবার উপর আমাদের কারুর আর মমতা ছিল না । বাবার চেহারাও হয়ে উঠেছে অদ্ভুত। একমাথা লম্বা চুল জটা পাকিয়ে গিয়েছে-আগে অাগে ম্যা নাইয়ে দিতেন, আজকাল বাবা কিছুতেই নাইতে চান না, কাছে যেতে দেন না, কাপড় ছাড়ে। না-গায়ের গন্ধে ঘরে থাকা অসম্ভব! মা একদিনও রাত্রে ঘুমুতে পারেন না-বাবা কেবলই ফাই-ফরমাশ করেন-জল দাও পান দাও। আর কেবলই বলেন খিদে পেয়েছে। কখন বলেন চা ক’রে দাও । না পেলেই তিনি আরও ক্ষেপে ওঠেন-এক মা ছাড়া তখন আর কেউ সামলে রাখতে পারে না-আমরা তখন ঘড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাই, মা বুঝিয়ে-সুজিয়ে শান্ত ক'রে চুপ করিয়ে রাখেন, নয়ত জোর ক’রে বালিশে শুইয়ে দিয়ে বাতাস করেন, পা টিপে দেন -কিন্তু তাতে বাবা সাময়িক চুপ করে থাকেন বটে, ঘমোন না। পাগল হয়ে পৰ্যন্ত বোধ হ <Tyr
