পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--তারা উড়ে যায়ক্ষ এক সায়িতে, বোধ হয় পুরো পাঁচ মিনিট ধরে তাদের দেখেচি। তারপর রোদ চকচক্‌ করতে লাগল, আর তাদের স্পষ্ট দেখা গেল না-ওপরেই দিকে যেতে যেতে মিলিয়ে গেল। এরকম নতুন নয়, কতবার দেখোঁচি, প্রায়ই দেখি, দু-পাচদিন অন্তর দেখি, দেখে দেখে আমার সয়ে গিয়েচে, আগের মত ভয় হয় না। কিন্তু এক-একবার ভাবি, এ আমার এক রকম রোগ-না, চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছে, নাকি ? আমার কারুর সঙ্গে মিশতে সাহস হয়- না। এইজন্যে যে, হয়ত কোন সময় আবার অন্য ভাব এসে যাবে, আর কে সঙ্গে থাকবে সে আমায় ভাববে পাগল। হয়ত হাসবে, হয়ত DBBDBD DL GBBBDSSS qODBDg ggSgBB DBDDBS DtuS DDDS st DBD পাগলাই ভাবেন। কি করবো। আমি যা দেখি, ওঁরা তা দেখতে পান না, এই আমার অপরাধ। একটা উদাহৰণ দিই ফাস্তুন মাসে ছোটকাকার মেয়ে পানী অসুখে পডল । একদিন দু’দিন গেল, অসুখ আর সারে না । জর লেগেই আছে। সাতদিন কেটে গোল-জব একই ভাব । দশ দিনের দিন অসুখ এমনি বাডল, নৈহাটি থেকে বড় ডাক্তাৱ আনবার কথা হ’ল । পানীকে আমার এ-বাড়ির ছেলেমেযেদের মধ্যে ভাল লাগে । তার বয়স বছর সাত-আট, কঁকড়া চুল মাথায়, চোখ কটা, সাহেবদের ছেলেমেয়েদের মত । এ-বাডির ছেলেমেয়েদের মুখে। যেমন খারাপ কথা আর গালাগালি লেগেই আছে-পানীর কিন্তু তা নয। তবে একটা কাবণ, সে এতদিন মামার বাডিতে তাৰ দিদিমার কাছে ছিল, গঙ্গার ওপারে ভদ্ৰেশ্বরে । সে বেশ মেয়ে, বেশ গান করতে পারে, প্ৰাণে তার দয়ামায আছে। পানীৰ অসুখ হয়ে পৰ্য্যন্ত আমার মন খারাপ হয়ে গিযেছিল-আমার ইচ্ছে হয়েছিল ওর কাছে গিযে, ব’ঙ্গে গায়ে হাত বুলিয়ে দিই-কিন্তু কাকীমা তো আমায় বিছানা ছুতে দেবে না, সেই ভষে

  • द्धिलोभ न

পানীর তখন সতেরো দিন জর চলচে-বুডো গোবিন্দ ডাক্তার ঘোডার গাডি ক’রে স্টেশন থেকে এল—দালনে বসে মশলার কৌটো বাব ক’বে মশলা খেলে, ভাজা মশলার গন্ধে দালান টুর্ব ভুব করতে লাগল-চা ক'রে দেওয়া হ’ল, চ খেলে, তার পাব ওষুধ লিখে দিয়ে ভিজিটের ঢাকা মেজকাকার হাত থেকে নিয়ে ন-দেখেই পকেটে পুৱালে-তার পর রোগীকে বাৱ বার গরম জল খাওয়ানোর কথা ব’লে গাডি ক’রে চলে গেল । একটু একটু অন্ধকার হয়েচে কিন্তু এখনও বাড়িতে সন্ধ্যার শাখ বাজেনি, কি আলো জ্বালা হয়নি-হয়ত ডাক্তার আসবার জন্তে সকলে ব্যস্ত ছিল বলেই। আমি রোগীর ঘৱে দোরের কাছে গিয়ে দাড়ালাম, কিন্তু পানীর বিছানায়-পানীর শিয়রে যে বসে আছে তাকে চিনতে পারলাম না। লালপাড় শাড়ী পরনে আধঘোমটা দেওয়া কে একজন, জ্যাঠাইমার ve