পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I Wy জ্যাঠামশায়দের বাড়ি আরও বছর দুই কেটে গেল এই ভাবেই। যত বছর কেটে যায়, এদেৱী এখানে থাকা আমার পক্ষে তত বেশি কঠিন হয়ে পড়তে লাগল। আমার বয়স বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে অনেক জিনিস। আমি বুঝতে পারি। আজকাল, আগে আগে অত বুঝতাম না। এ বাড়িতে থাকা আমার পক্ষে আরও কঠিন হয়ে উঠেছিল। এইজন্যে যে, আমি চেষ্টা করেও জ্যাঠাইমাদের ধৰ্ম্ম ও আচারের সঙ্গে নিজেকে কিছুতেই খাপ খাওয়াতে পেরে উঠলাম না। এরা খুব ঘটা ক’রে যেটা ধৰ্ম্ম বলে আচরণ করেন, আমার মনের সঙ্গে সেটা তো আন্দো LBB DSqD DBB DD DDS DDBB BBB BBYTSDDD D DBLDDD D S LLLD BD যেটা আমার ভাল লাগে।--সেটাকে ওঁরা ধৰ্ম্ম বলেন না । কিন্তু একটা ব্যাপার হয়েচে এই, আগে ভাবতাম। শুধু জ্যাঠাইমাদের বাড়িতেই বুঝি এী রকম, এখন বয়স বাড়বার সঙ্গে বুঝতে পেরেছি-এ গ্রামের অধিকাংশই এই রকম-জ্যাঠাই মায়ের একটু বেশী মাত্র। এতেই আমার সন্দেহ হ’ল বােধ হয় আমার মধ্যেই কোনো দোষ আছে, যার ফলে আ৷ এদের শিক্ষা নিতে পারাচি নে। ভাবলাম আমার যে ভাল লাগে না, সে বোধ হয় আদি বুঝতে পারি না বলেই-হয়ত চা-বাগানে থাকার দরুন ওদের ধৰ্ম্ম আমরা শেখবার সুযোগ পাইনি, যে আবহাওয়ার মধ্যে ছেলেবেলা থেকে মানুষ হয়েচি, সেটাই এখন ভাল লাগে। ম্যাট্রিক পাস ক’রে শ্ৰীরামপুর কলেজে ভর্তি হলাম। জ্যাঠামশায়দের গ্রাম আটঘরা নবীন চৌধুরী-যার বড় ছেলে ননী ভাল ফুটবল খেলতে পারে এবং যে প্ৰায়শ্চিত্তের না মেনে বাবার সৎকারের সময়ে দলবল জুটিয়ে এনেছিল-তারই ভগ্নীপতির বাড়ি অর্থ নবীন চৌধুরীর বড় মেয়ে শৈলবালার শ্বশুরবাড়ি শ্ৰীৱামপুরে। ননীর যোগাড়ষত্রে তাদে শ্বশুরবাড়িতে আমার থাকবার ব্যবস্থা হ’ল । এসে দেখি এদেরও বেশ বড় সংসার, অনেক লোক। শৈলদিদির স্বামীরা ছ’ভাই, তা মধ্যে চার ভাইয়ের বিয়ে হয়েচে আর একটি আমার বয়েসী, ফাস্ট ইয়ারেই ভিত্তি হ’ল আমা সঙ্গে। সকলের ছোট ভাই স্কুলে পড়ে। শৈলদি বাড়ির বড়বে; আমি তীর দেশের লোঃ সবাই আমাকে খুব আদরষত্ন করলে। এখানে কিছুদিন থাকবার পরে বুঝলাম যে, সংসা সবাই জ্যাঠামশায়দের বাড়ির ছাচে গড়া নয়। চা-বাগান থেকে এসে বাংলা দেশ সম্বন্ধে { একটা হীন ধারণা আমার হয়েছিল, সেটা এখানে দু-চার মাস থাকতে থাকতে চুলে গোল আর একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে এ বাড়িৱ মেয়েরা কেউ কারও বড় একটা অধীন না।