পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখি, অথচ নিজেই বুঝিনে এ-সবের মানে কি। চুপচাপ থাকাই আমার পক্ষে ভাল। এই ঘটনার পরে আমার ভয় হ’ল আমার সেই রোগ আবার আরম্ভ হবে। ও যখন আসে তখন উপরি-উপরি অনেক বার হয়--তার পর দিনকতকের জন্তে আবার একেবারেই বন্ধ থাকে। এই বার বেশী ক’রে শুরু হ’লে আমার চাকুরি ঘুচে যাবে-সীতার কোন কিনারাই করতে পারব না। মেজবাবু হিসেবের খাতা লেখার কাজ দিলেন নবীন মুহুরীকে। তার ফলে আমার কাজ বেজায় বেড়ে গেল-ঘুরে ঘুরে এদের কাজে খিদিরপুর, বরানগর, কালীঘাট করতে হয়-আর BBB LLL KLDB BDD GLYD DLL BDDB DBB DDD BDS SgLSLLL নির্দিষ্ট সময় নেই, দিনে রাতে শুধু দুটোছুটি কাজ। এই দোকানের হিসেব নবীন মুহুরীকে বুঝিয়ে দেওয়া একটা ঝঙ্কাট-রোজ সে আমাকে অপমান করে ছুতোয়-নাতায়, আমার কথা বিশ্বাস করে না, চাকরীদের জিজ্ঞেস করে আড়ালে সত্যি সত্যি কি দরে জিনিসটা এনেচি । সীতার মুখ মনে ক’রে সবই সহ ক’রে থাকি । কাত্তিক মাসে ওদের দেশের সেই মহোৎসব হবে-আমাদের সকলকে দেশে পাঠানো হ’ল। আমি অনেক আগে থেকেই শুনে আসচি-অত্যন্ত কৌতুহল ছিল দেখবো ওদের সাম্প্রদায়িক ধর্মানুষ্ঠান কি রকম। গ্রামে এদের প্রকাও বাড়ি, বাগান, দীঘি, এরাই গ্রামের জমিদার। তবে বছরে এই একবার ছাড়া আর কখনও দেশে আসেন না। কুজ নায়েব বাকী দশ মাস এখানকার दिक् । একটা খুব বড় ফাকা মাঠে মেলা বসেচে-এখানকার দোকান-পসারই বেশী। অনেকগুলো খাবারের দোকান, মাটির খেলনার দোকান, মাদুরের দোকান। একটা বড় বটগাছের তলাটা বঁধানে, সেটাই না-কি পীঠস্থান । লোকে এসে সেইখানে পুজো দেয়—আর বটগাছটার ডালে ও কুরিতে ইট বাধা ও লাল নীল নেকড়ো বাধা। লোকে মানত করার সময় ওই সব গাছের গায়ে বেঁধে রেখে যায়, মানত শোধ দেওয়ার সময় এসে খুলে দিয়ে পুজো দেয়। বটতলায় সারি সারি লোক ধৰ্ণা দিয়ে শুয়ে আছে, মেয়েদের ও পুরুষদের ধর্ণা দেওয়ার জায়গা আলাদা আলাদা। বন্ধুবাবু ও মেজবাবুতে মোহন্তের গদিতে বসেনা-কৰ্ত্তা নীলাম্বর রায় আসেননি, তার শরীর স্বাস্থ নয়। এদের বেদীর ওপরে আশপাশে তাকিয়া, ফুল দিয়ে সাজানো, সামনে ঝকঝকে প্ৰকাণ্ড রুপোর থালাতে দিন-রাত প্ৰণামী পড়চে । দুটো থালা আছে-একটাতে মোহন্তের নজর, আর একটাতে মানত ও পুজোৱ প্ৰণামী।