করিবেন। তার চেয়ে এক কাজ কর তুমি। চিরদিন অবশ্য আমাদের এ অবস্থা থাকিবে না। একদিন এর পর যদি ভাল অবস্থা আসে, তখন এইরূপ একটা কিম্মতিয়া উপহার নবাব সুজা বেগকে পাঠাইয়া দিলেই, হয়ত আমার ও তোমার মনটা এ রহস্যময় দানের সম্বন্ধে খুবই হাল্কা হইয়া যাইবে।”
জামাল খাঁ আর কিছু না বলিয়া, সেই কক্ষ ত্যাগ করিলেন। সেই কক্ষ মধ্যে রহিল কেবল আনারউন্নিসা।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
আনার উন্নিসার এক পেয়ারের বাঁদী ছিল। সে যুবতী, সদা প্রফুল্লমুখী ও আনারের সমবয়সী। আবাল্য তাহার সহিত একত্রে প্রতিপালিতা, তাহার সুখে দুখে সমবেদনা পরিপূর্ণা। তাহার নাম জুমেলি।
জামাল খাঁ কক্ষ ত্যাগ করিলে, জুমেলি হাস্যমুখে সেই মধ্যে প্রবেশ করিয়া আনারের হাতে একখানি পত্র দিয়া বলিল—“আবার বোধ হয় নবাব বাড়ীতে নিমন্ত্রণ! আবার বোধ হয় আর একছড়া রত্নহার।”
এই জুমেলি, আনারের সঙ্গে এক কক্ষে এক শয্যায় শয়ন করিত। জুমেলির মা—আনারের বাল্যকালের দাই। এজন্য মার মৃত্যুর পর জুমেলি এ সংসারের একরূপ কর্ত্রী হইয়া
১৩