পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

একটু সুস্থ হইলে, আনার বলিল,—“আমার খাবার চাপা আছে কিছু খাইবে কি? সরবৎ বা কফি তৈয়ারী করিব?”

 নবাব সুজা খাঁ বলিলেন,—“না কিছুরই প্রয়োজন নাই। তুমি এখন নিশ্চিন্ত মনে নিদ্রা যাও। কাল প্রভাতে তোমাকে সকল কথা বলিব। আজ আমি বড়ই শ্রান্ত।”

 আনার স্বামীর এ ব্যবস্থার উপর কোন কথা কহিতে পারিল না। তাহার দুশ্চিন্তাময়ী রজনী, সুখ নিদ্রায় কাটিয়া গেল।

 দিনের ঘটনার পর বিচার করিয়া লোকে বলে, আজ আমার সু বা কু-প্রভাত। কথাটা খুব সত্য। কিন্তু আমরা বলিতে পারি পর দিন আনারউন্নিসা ও নবাব সুজাবেগ উভয়ের পক্ষেরই কুপ্রভাত। কেন তাহাদের প্রকাশ পাইবে।

 সুজা খাঁ বেলা এক প্রহরের পর, নিজের কক্ষ মধ্যে বসিয়া কতকগুলি কাগজ পত্র দেখিতেছিলেন। এমন সময়ে এক বান্দা আসিয়া, তাঁহার হাতে একখানি পত্র দিল।

 পত্রের লেখা দেখিয়াই সুজাবেগ বুঝিলেন, পত্রখানি বাহাররানুর নিকট হইতে আসিয়াছে। বান্দাকে নেত্র ইঙ্গিতে বিদায় করিয়া দিয়া, নবাব সুজাবেগ সেই পত্রখানি সমনোযোগে পাঠ করিলেন। পাঠান্তে, তাঁহার মুখখানি খুবই মলিন হইয়া পড়িল।

 সহসা দ্বার সন্নিকটে তিনি যেন কাহারও সাবধান বিন্যস্ত পাদবিক্ষেপ-শব্দ শুনিতে পাইলেন। বুঝিলেন, তাঁহার পত্নী আনারউন্নিসা তাঁহার কক্ষের দিকে আসিতেছে। নবাব সাহেব, তাঁহার বিশ্রাম

১৬৮