পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

 এই সময়ে জুমলা সাহেব কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিয়া বলিলেন “ছিঃ—মা! একি কান্নার সময়? সাহসে বুক বাঁধ—সেবা কর। খোদার কৃপায় না হয় কি?”

 আনার উন্নিসা অশ্রুপূর্ণ নেত্রে বলিল—“কে আমার এ সর্ব্বনাশ করিল পিতা? আমিত কাহার কোন অনিষ্ট করি নাই।”

 “যে করিয়াছে সে খোদার নিকট শাস্তি পাইবে। খোদাকে ডাক। এ বিপদে তিনিই আমাদের সহায় ও সান্ত্বনা।” এই কথা বলিয়া জুমলা সাহেব কক্ষান্তরে চলিয়া গেলেন।


ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ।

 সেই গভীর নিশুতি রাত্রে, এই ভয়াবহ কাণ্ডের পর, শয়তানী বাহারবানু বাটীতে ফিরিল। পথিমধ্যে শকটওয়ালাকে বিদায় করিয়া দিয়া, সে তাহার আবাস বাটীর পশ্চাতের এক ক্ষুদ্র দ্বার দিয়া —প্রেতিনীর ন্যায় নিঃশব্দে নিজের কক্ষে প্রবেশ করিল।

 বাঁদী দুইজন রাত্রে বাটী চলিয়া যায়। কেবল মাত্র দ্বার রক্ষক একজন বান্দা, তাহার রক্ষকরূপে পুরীতে থাকে।

 বাহারের কক্ষটী দীপোজ্জলিত। সে কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিয়াই, দ্বার ভেজাইয়া দিল। সেই রক্তাপ্লুত ভীষণ ছুরিকা খানি, তখনও তাহার হাতে। সে তাহার বস্ত্রমধ্য হইতে হীরক হারের পেটিকাটী বাহির করিয়া দীপালোকের সম্মুখে রাখিল।

১৮৩