পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

করিতেছ, তখন সেই বুকে আমাকে টানিয়া লইবার কোন অধিকারই তোমার নাই।”

 এই কথা বলিয়া, সুরমারঞ্জিত অপাঙ্গে বিদ্যুৎলহরী খেলাইয়া বাহারবানু সেরাজি পাত্রটী পূর্ণ করিয়া, সুজা বেগের হাতে দিয়া বলিল—“এই টুকু শেষ করিয়া নাও। তার পর খুব একটা কাজের কথা তোমায় বলিব”

 কথাটা যে কি, আর তাহার জন্য বাহারবানু এত ভূমিকা আরম্ভ করিয়াছে কেন, এই টুকু তলাইয়া বুঝিতে সুজাবেগের বড়ই গোলমাল ঠেকিতে লাগিল। যখন বাহারের অর্থের প্রযোজন হইত, তখনই সে এইভাবে কাঁদুনী গাহিয়া কিছু টাকা আদায় করিয়া হাসিমুখে চলিয়া যাইত। সুজা মনে মনে ভাবিলেন—এইবার হয়ত আবার টাকার প্রয়োজন হইয়াছে। তাই তাহার প্রণয়িণী বাহারবানু এতটা দীর্ঘ ভূমিকা আরম্ভ করিয়াছে।

 সুজাবেগ পান পাত্র নিঃশেষ করিয়া, বাহারকে আর এক পাত্র পূর্ণ করিয়া দিলেন। এবার আর সে কোনরূপ বাহানা না করিয়া তাহা নিঃশেষ করিয়া বলিল,—“একটা কথা শুনিতেছি,—সত্য কি? তুমি গোপনে গোপনে আমার সর্ব্বনাশের চেষ্টা করিতেছ কেন?”

 সুজা চমকিত হইয়া বলিল,—“সে কি কথা!”

 বাহারবানু গম্ভীর মুখে বলিল,—“তুমি নাকি বিবাহ করিবে?”

৩৩