পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

মধ্যে বন্দোবস্ত ছিল, বাহারবানু, নবারের টাকা লইয়া খেলিয়া যে বাজী জিতিবে, তাহার মুনফার অর্দ্ধেক্ টাকা, সে নবাবের নিকট পুরষ্কার বলিয়া আদায় করিবে। বাকী অর্ধেক নবাবের।

 যে সময়ের কথা আমরা বলিতেছি, সেই সময়ে বড় লোকের মধ্যে আর এক রকমের আমোদের প্রচলন ছিল। এটা বাজ্ শিকরী, ও কবুতরের লড়াই। ইহাতেও প্রমারার মত টাকা লইয়া বাজির খেলা হইত। তবে প্রমাণ এক সঙ্গে দশজনে বসিয়া খেলিতে পারিত, দান ফেলিতে পারিত। এ খেলাতে সেরূপ নিয়ম ছিল না। দুই জনের মধ্যেই ইহা সীমাবদ্ধ ছিল, আর ইহার প্রত্যেক বারের বাজির পরিমাণ, দুই হাজার আসরফির নীচে ছিল না।

 এই খেলার নিয়ম এই —যে দুই জনের মধ্যে ক্রীড়া চলিবে, তাঁহারা দুইদিকে বসিতেন। চিড়িয়াদের লড়াই করিবার জন্য খুব খানিকটা ফরদা জায়গা মাঝে রাখিয়া মণ্ডলাকারে তাঁহারা চারি দিক ঘেরিয়া থাকিতেন। বাঙ্গীর টাকা সকলের সম্মুখে রাখিয়া দেওয়া হত। যাঁর পাখী জিতিত,তিনিই পুরষ্কারের টাকাটা লইতেন।

 নবাব সুজা বেগের এই পাথীর লড়াইয়ের ব্যাপারে খুব একটা ঝোঁক ছিল। এজন্য তিনি অনেকবার অনেক টাকা খেসারত দিয়াছেন। কিন্তু যে বারে তিনি বাহারবানুর শিক্ষিত বাজ ও শিকরী লইয়া খেলিতেন, সেইবারে তাঁহার নিশ্চয়ই জিত হইত।

 এই প্রেম ও প্রমারাই তাঁহাকে বাহারবানুর সহিত

৪৮