থাকিতে দেখিয়া, সেই সুন্দরী মৃদুহাস্যের সহিত বীণানিন্দিত স্বরে বলিল—“কি দেখিতেছ একদৃষ্টে তুমি বহিন্!”
আনার স্বপ্নোথিতের মত একটু চমকিত হইয়া, বলিয়া ফেলিল—“তোমার ঐ ভুবন মোহন রূপ!”
সেই রমণী আর কেহই নহে, আমাদের পূর্ধ্ব পরিচিতা বাহারবানু।
রূপসী বাহারবানু সহাস্যমুখে সুমিষ্ট স্বরে বলিল—“তোমার চেয়েও না কি আমার রূপ বেশী? তুমি বোধ হয় দর্পণে যুখ দেখ না, তাহা হইলে হয় তো একথা বলিতে না—বহিন্।”
বাহার, আনারের সম্মুখে দাঁড়াইয়াছিল। এখন অনুরুদ্ধ না হইয়াও তাহার কাছে বসিল। বসিয়া বলিল—“আনারউন্নিসা! সত্য বল—তুমি কি ভাবিতেছিলে? নবাব সুজা বেগের কথা কি?”
সহসা এই অপরিচিতার মুখে, ভিতরের গুহ্য কথা ব্যক্ত হইতে দেখিয়া, আনারউন্নিসা—বিস্ময়বিহ্বল মুখে একবার মাত্র বাহারবানুর দিকে দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া, ব্যগ্রভাবে বলিল—“কে তুমি? এসব কথা জানিলে কিরূপে? আমি যে আনারউন্নিসা এ কথাই বা তোমায় কে বলিল?”
শয়তানী বাহার, একখানি চিত্র তাহার বক্ষবসনের মধ্য হইতে বাহির করিয়া বলিল—“চিনিতে পার কি—এ প্রতিকৃতি কার?”
আনার সে তন্বীর দেখিবা মাত্রই চিনিল। সুজাবেগের মাতা
৫৯