রুকিনা বেগম, এখানি তাহার পিতার নিকট হইতে লইয়া যান। এ চিত্রের অঙ্কন কর্ত্তা— স্বয়ং মীর লতিফ্। কেন না সেই ছবির নীচে তাঁহার নাম স্বাক্ষর পর্য্যন্ত আছে।
মীরলতিফ যে কেবল সৈনিক ব্রতেই সুদক্ষ, তাহা নহে। সুকুমার শিল্পের প্রতি তাহার খুব একটা অনুরাগ থাকায়, আনার উন্নিসার, কিশোরের ও যৌবনের দুইখানি ছবি আঁকিয়া দিয়াছিল। এ ছবি খানি তাহারই অন্যতম।
আনার এই ঘটনায় আরও বিস্মিত হইয়া বলিল—“এই তস্বীর তুমি কোথায় পাইলে?”
বাহারবানু—একট দর্পের সহিত বলিল—“স্বয়ং নবাবউল্-মুলুক সুজাউদ্দৌলা আমাকে এ তস্বীর উপহার দিয়াছেন।”
আনার। কারণ কি?
বাহার। সে কথা শুনিয়া তোমার কাজ নাই। তুমি তাহাতে অনর্থক মন বেদনা পাইবে। তোমার সহিত আমার কোনই মনোমালিন্য নাই। সুতরাং সে কথা বলিয়া আমি তোমার মনে কষ্ট দিতে চাই না।
আনার। না— আমার কোন কষ্টই বোধ হইবে না। তুমি স্বচ্ছন্দে বলিতে পার।
বাহার বলিল—“একটু পরে তাহা বলিতেছি। সত্য বল দেখি, সুজাবেগকে তুমি পছন্দ কর কি না?”
আনার। নবাব সুজা বেগের সহিত আমার বিবাহ প্রস্তাব হইয়াছে। সে প্রস্তাব কার্য্যে পরিণত হওয়া, বা না হওয়া, আমার
৬০