পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

আসিয়া দুনিয়ার একটা নুতনতর স্ত্রীলোককে দেখিলাম। এখন চল্‌ তবে বাড়ী যাওয়া যাক্।”

 তখন দুইজনে বাহিরে আসিয়া, ভৃত্যকে দিয়া তাহাদের আনীত শকটের সন্ধান করিল। আর তাহাতে উঠিয়া স্বগৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিল।


অষ্টম পরিচ্ছেদ।

 মীর লতিফের পরিচয় আমরা পূর্ব্বেই একটু দিয়াছি। আনারের পিতার এক বন্ধুর পুত্র। বাল্য কাল হইতে পিতৃমাতৃহীন। মীর লতিফের মাতার দেহান্ত আগে হয়। মীর লতিফের পিতা, পত্নী বিয়োগের পর মাত্র দুই বৎসর জীবিত ছিলেন। তাঁহার মৃত্যু সময়ে যৎসামান্য কয়েকশত মুদ্রা, আর দশম বর্ষীয় বালক এই মার লতিফকে, তাঁহার বন্ধু জামাল খাঁর হস্তে সমর্পণ করিয়া যান। আর আনারের পিতা এই বন্ধু পুত্রকে সেই সময় হইতেই পুত্র নির্ব্বিশেষে পালন করিতেছেন।

 মীর লতিফ প্রথমে চিত্র-বিদ্যার দিকে খুবই ঝুঁকিয়াছিল। কিন্তু শেষ কি মনে বুঝিয়া, বাদশাহের সেনাদলে প্রবেশ করে। আর নানা বিষয়ে কার্য্য কুশলতা দেখাইয়া, বাদশাহের শরীর রক্ষী সেনা দলের একজন অধিনায়ক হইয়া পড়ে।

 এক সময়ে কোন শোভাযাত্রা উপলক্ষে, অসংখ্য জনস্রোতের

৬৫