জামাল খাঁ একটী দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন—“যাহারা বয়স্থা কন্যার বিবাহ ব্যাপার লইয়া, একটা মহা সমস্যার মধ্যে পড়ে, আর তাহার একটা সূক্ষ্ম মীমাংসা করিতে না পারিয়া দিশাহারা, হইয়া যায়, তাহাদের অবস্থা ঠিক আমারই মত হইয়া উঠে।”
আনার, সবিস্ময়ে পিতার মুখের দিকে বারেক মাত্র চাহিয়া, পিতার মনোভাব কতকটা অনুমানে বুঝিয়া বলিল,—“কিসের জন্য তুমি এত ভাবিতেছ পিতা?”
জামাল খাঁ মলিন মুখে বলিলেন—“তোমার জন্যই ভাবিতেছি মা! তবে এবার খালি তোমার জন্য নয়, আমার নিজের জন্য কিছু বেশী মাত্রায় ভাবিতে হইয়াছে।”
এই কথা বলিয়| জামাল খাঁ, একখানি পত্র আনারের হাতে দিয়া বলিলেন,—“এই পত্রখানি পড়িয়া দেখ, তাহা হইলে আমার মুখ কেন এত মলিন, তাহা আমি স্বমুখে কোন কিছু বলিবার পূর্ব্বেই তুমি বুঝিতে পারিবে।”
আনার পত্রখানি আদ্যোপান্ত মনোযোগের সহিত পড়িল। পত্রপাঠ শেষ হইলে, তাহার সুন্দর মুখখানি যেন মেঘঢাকা চাঁদের মত মলিন হইয়া পড়িল।
জামাল খাঁ কন্যার মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন—“কেন আমার মুখ এত চিন্তাপূর্ণ, তাহা এখন বুঝিলে কি?”
আনার। খুব বুঝিয়াছি। কিন্তু বাবা!—
জামাল। এর আর কিন্তু কি মা?
৭০