পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । ধারণ কর ; স্বস্ব স্বামীর হতাশ প্রাণে আশা-বারি সেচন কর ; তাহা ন হইলে, তোমাদের গুহ, তোমাদের ভারত-ভূমি, তোমাদের বিলাস-ভবন, অচিরেই শ্মশান-ক্ষেত্রে পরিণত হইবে । সরল ও সরোজার কথাবার্তা চলিতেছে, এমন সময় শরদ্বাসিনী আসিয়া, স্নান-মুখে তাহাদের একধারে বসিল । শরদ্বাসিনী মুখুয্যে মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা ; অনিন্দ্য সুন্দরী ; শরতের ন্যায় লাবণ্যবতী ললন। সচরাচর দৃষ্টিগোচর হয় না ; বয়স সতর আঠার হইবে । মুখুয্যে মহাশয়, বহু টাকা ব্যয় করিয়া, তাহাকে শ্যামনগরের জমিদারের সঙ্গে বিবাহ দিয়াছেন । এই জমিদারের আয় প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা । সরল জিজ্ঞাসা করিল, “শরৎ, কবে এসেছিস্ ?” শরৎ উত্তর করিল, “আজ কয়েক দিন হ’ল ।” সরল । তোদের ঐশ্বর্য্যের কথা শুনে, বড়ই সুখী হয়েছি । বামুনে রাধে, দাসীতে কাজ করে, কত দালান বালাখানা, কত ঘি, মাখন খাস্ ; তোর হুগের সীমা নাই ! আমরা যেমন গরীবের মেয়ে, প’ড়েছি তেমন গরীবের হাতে । তোর কত সুখ । মুখে হাসি নাই কেন ? শরৎ । দিদি ! বড় ঘরে বিয়ে হ’লেই যে সুখ হয়, এটি তোমাদের ভ্রম । দুধ, ঘি, মাখন খেলেই যে সুখ হয়, তাহাও নয় । দিদি । মনের সুখই প্রকৃত সুখ । সরোজা । আমিও, শরৎ, তাহাই বুঝি ; মনের সুখই প্রকৃত সুখ ; কুঁড়ে ঘরে বাস ক’রে, শাক ভাত খেয়েও, যদি } o o