পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । পূর্বে, সে “সাধু প্রকৃতি”কিন, ইহাই সর্বাগ্রে দেখা কৰ্ত্তব্য ; তাহা না হইলে, কন্যার মানসিক সুখের আশা দুরাশা মাত্র ! ক্রোড়-পতি বরও, উচ্ছখল-প্রকৃতি হইলে, কন্যার কিছু মাত্র সুখ হয় না, সে অহর্নিশ মনের আগুনে জ্বলিয়া মরে । সুভক্ষ্য-ভক্ষণ, বহু মূল্য অলঙ্কার-ধারণ ও দুগ্ধ-ফেণনিভশয্যায় শয়নে যে সুখ, তাহার মূল্য অতি সামান্য ; কিন্তু দম্পতির পরস্পরের প্রতি পরস্পরের অনুরাগ-জনিত যে সুখ, তাহা অমূল্য । ইহা অপার্থিব দ্রব্য। আজ কাল ইহার অভাব বলিয়াই, এ দেশের এ দুৰ্গতি । দম্পতির সেরূপ মনোমিলন নাই, কাজেই অসুখ ও অশান্তি পূর্ণ মাত্রায় বিরাজমান ! নারায়ণ এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এমন সময় দেখিলেন, একটি বিধবা রমণী, সেই গুহের একপ্রান্তে বসিয়া, সম-বয়স্ক অন্য রমণীর নিকট র্তাহার মনের দুঃখ প্রকাশ করিতেছে। ঐ বিধবা রমণীর নাম শাস্তি ; অন্য রমণীর নাম ভুবন-মোহিনী ; উভয়ের বয়স বিশ-বাইশ বৎসর হইবে । ভুবন বলিল, “শান্তি, তোর এ দশার কথা শু’নে, আমরা মৰ্ম্মাহত হ’য়েছি ; প্রাণ সুস্থির রাখিস্ ; কি করবি ; বিধাত কপালে যা লিখেছেন, তাই ত ঘটবে ? এমন সোণার মানুষ ফাকি দিয়ে গেল ! শাস্তি কঁাদিয়া উত্তর করিল, “ভুবন, এটিই আমার দুঃখ,— এমন লোকের মৰ্ম্ম আমি বুঝতে পাল্লেম না,—তাকে একটি দিনের জন্যও সুখী কল্লেম না ! বাড়ী আসিলেই, আমাদের ভাব-চরিত্র দেখে, “হা ভগবন, হা পরমেশ্বর,” এই বলিয়া, e 'R