পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । তিনি কঁাদিতেন। ভুবন, তেমন লোক আর দেখিতে পাইন'; অন্য লোকের সঙ্গে, তার তুলনা ক’রে দেখি, তিনি দেবতা—এ পাপ-পৃথিবীর যোগ্য নহেন ! অভাগিনীর কপালে, তিনি থাকিবেন কেন ? তাহার প্রত্যেক কাৰ্য্য, প্রত্যেক কথা, আমার প্রতি র্তার সরস ভাব, সব মনে পড়ে ; ভুবন, সব মনে পড়ে ! আমি পিশাচী, তিনি দেবতা ; আমার কপালগুণে তিনি থাকিবেন কেন ! আমি তাহাকে কথা-বাৰ্ত্তায়, আচারব্যবহারে, কষ্ট দিতে ক্রটি করি নাই । তিনি আমাকে কড়া বুঝাতেন, কত উপদেশ দিতেন, কত বিহঙ্গম-বিহঙ্গমীর কথা বলতেন, তাহার একটি কথাও আমি পালন করি নাই—ভুবন, ইহাই আমার দুঃখ —র্তাকে সুখী করলেম না ; তার সেবা করলেম না ; প্রাণভরে তাকে ভালবাসলেম না ; আমি অভাগিনী, তিনি অভিমানে, আমাকে ফাকি দিয়ে চলে গেলেন !” ভুবন । শান্তি, এই ত আমাদের দোষ ; আমরা সময় মত স্বামীর মুখের দিকে তাকাই না ; সময় মত তাকে ভালবাসি না ; র্তার কথা শুনি না ; তার প্রাণ, ঠাণ্ডা করি না, বরং বাক্য-বাণে বিদ্ধ করি ; পরে অনুতাপে জ্বলে মরি। শান্তি, এখন সে কথা ভাবলে আর ফল নেই ; মন সুস্থির কর ; ভগবানের নিকট র্তাহার আত্মার মঙ্গল কামনা কর । যদি তুই মনটিও স্বভাবটি ভাল রেখে, সময় কাটাতে পারিস্, তাহলেই, তুই যে স্বামীকে ভালবাসতিস্, তাহার পরিচয় দেওয়া হবে । নারায়ণ শাস্তির অবস্থ দর্শনে, যারপর নাই দুঃখিত হইলেন a 3