পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। গ্রন্থি যে, গৃহিণীর বাকচাতুৰ্য্যে এরূপ শিথিল হয়, তাহ জানিতাম না ! ষে পুরুষ, গুহের বহির্ভাগে সিংহ-প্রকৃতি, সে ও যে, গৃহিণী-সকাশে শৃগালত্ব প্রাপ্ত হয়, তাহা জানিতাম না ! হায় রে । এ সব ভাব কেবল এই অভিনব দেশেই সস্তবে ? হায় মা ! ভারত-ভূমি ! গৃহ-বিচ্ছেদের দারুণ-বৰ্হি প্রজ্জ্বলিত হয় কেন মা ! তোমার সন্তানগণের অন্তরে কি শান্তি-দেবী আর বিরাজ করিবেন না ! কালীনাথের আশ্বাস-বাণী শ্রবণে, মহামায়া বুঝিতে পারিল, “ঔষধে রোগ ধরিয়াছে, আর চিস্তা নাই ।” সে প্রফুল্লভাবে উত্তর করিল, “এক্ষণে পথে এস, তোমার জন্য প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে পারি, পোড়া কপাল ! কি, দুটি কথাও বলব না ? তোমার স্থখ হবে, তোমার ছেলে পেলের সুখ হবে, তাই আমার যত কথা ।” অতঃপর উভয়ে ভাবি সুখ ও সম্পদের বিষয় চিন্তা করিতে করিতে, গভীর নিদ্রায় বিভোর হইয়া পড়িল । কালীনাথ বাবু কর্তৃক ভিন্ন হওয়ার প্রস্তাব। রাত্রি প্রভাত হইল। কালীনাথ ও মহামায়া গম্ভীর মুক্তি ধারণ করিলেন ; অন্য দিনের ন্যায় সরল ভাবে কথা বলিলেন না। দুর্গানাথ ও যোগমায়া উহাদের অপূর্ব ভাব লক্ষ্য করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “না জানি, আজ কি বিপদ ঘটে ।” যে কথা, সেই কাৰ্য্য। কালীনাথ বাবু নিতান্ত স্নান-গম্ভীর মুখে দুর্গানাথকে আহবান করিয়া বলিলেন, “দুর্গানাথ, এক্ষণে দিন > >ー