পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । তুমি, এমন সহোদরের মৰ্ম্ম বুঝিলে না, তোমাকে ধিক। মহামায় ! তোমার অহঙ্কার কিছুই থাকিবে না ; কালে, সব দৰ্প খর্ব হইবে । পরিণাম কিছুমাত্র চিন্তা করিলে না ! “কেবল নিজে খাব” “নিজে পারব,” একথাই চিন্তা করিয়াছ, কিন্তু “স্বামী যেমন পূজনীয়,” “দেবর তেমন আদরণীয় ও অসময়ের সহায়,” একথাটি কি তোমার মনে একবারও উদিত হয় নাই ? যোগমায়া ! চিন্তা করিও না ; তোমার সুখের দিন অতি নিকট । তুমি সহিষ্ণুতার পুরস্কার অবশ্যই পাইবে । তোমার পুত্ৰগণ, এক একটি রত্ব হইবে! এই চাটুয্যে বংশের মান মৰ্য্যাদা তাহাদের দ্বারাই অক্ষুণ্ণ থাকিবে ? জানিও, “ধৰ্ম্মের জয়, অধৰ্ম্মের ক্ষয়,” “একথাটির প্রত্যেক বর্ণ সত্য ।” ভিখারিণী বেশধারী নারায়ণ উল্লিখিত কথা গুলি বলিয়া, অদৃশ্য হইলেন। সকল লোক চকিত ও স্তম্ভিত হইয়া দণ্ডায়মান রহিল । নারায়ণ দেখিলেন, যে স্থানে উপার্জন ক্ষম ভ্রাতা আছেন, প্রায় সে স্থানেই, তাহার অকৃতী সহোদরের প্রতি, তদীয় গৃহিণীর আন্তরিক বিদ্বেষ বিদ্যমান ! এই শোচনীয় দৃশ্যে মৰ্ম্মাহত হইয়া, তিনি ভাবিতে লাগিলেন, “হায় রে ; যে দেশের লোক স্ত্রীর উপদেশে, ভ্রাতৃ-স্নেহের কমনীয়তা বিস্মৃত হইতে পারে, সে দেশের লোক যে, চিরকাল অধঃপতিত থাকিবে, তাহার আর বিচিত্ৰত কি ! যে দেশে, এক বৃন্তের ফুল, একই ভাবে ఫిల