পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। এই লিষ্ট পাঠ করিয়া, কন্যার পিতৃার মস্তিষ্ক বিঘূর্ণিত হইতে লাগিল । সম্মুখে একজন দেশ-হিতৈষীলোক উপস্থিত ছিলেন । তিনি মনের ক্রোধ চাপিয়া রাখিয়া, বরের পিতাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহাশয়, একটি বিষম ভুল করিয়াছেন। কন্যার মাতাপিতার ছিন্ন-মুণ্ডের “মুড়িঘণ্টে”র দাবী করেন নাই ! আপনার পুত্রের” “বৌভাতের” নিমন্ত্রণে, ইহা অতি উপাদেয় সামগ্ৰী হইত। বরের পিতা নীরব রহিলেন । এই সকল দর্শন ও শ্রবণু করিয়া, নারায়ণ ভাবিতে লাগিলেন, “হায়রে । কন্যার পিতার অশ্রুবর্ষণ আর দর্শন করিতে পারি না। হায়! এক্ষণে দুহিতৃগণকে সঙ্গতিপন্ন সৎপাত্রে সমর্পণ করা, আর দরিদ্র পিতার সাধ্যায়ত্ত নহে ! একদিকে যেমন কন্যা-বিক্রয়ের হ্রাস দেখিয়া আহলাদিত হইলাম, পক্ষান্তরে, বর-বিক্রয় দর্শন করিয়া, আমার মৰ্ম্মান্তিক যাতনার বুদ্ধি হইল । মা ! তোমার সন্তানগণ কি এই কুপ্রথা দেশ হইতে বিদূরিত করিতে পারে না ? প্রকৃতিপুরুষের পরস্পর বৈধ সম্মিলন যত সহজ হয়, বিধাতা ততই পরিতুষ্ট হন । তাহাতে, যে, যে ভাবেই অন্তরায় হউক না কেন, হায়-দণ্ডের কঠিন শাসন হইতে, তাহার অব্যাহতি পাওয়ার উপায় নাই। আমার নিকট পুত্র ও কন্যা উভয়েই সমান। এই বিশ্বরাজ্যে, আমার খেলার জন্য, আমিই বরকন্যার মিলন করিয়া থাকি । কন্যাপণগ্রহণে যেমন পাপ, বরপণগ্রহণে তেমনই পাপ । $bre w