পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। ঠাকুর, তাহার স্ত্রী কাত্যায়নীর দুর্ব্যবহারে মৰ্ম্মাহত হইয়া, অকালে প্রাণত্যাগ করেন। তাহার পুত্র দুইটি ঃ-যাদব ও মাধব । যাদবের বয়স বিশ, আর মাধবের বয়স পঞ্চদশ বর্ষ। যাদব, সুশীলা নাম্নী এক কৃষ্ণবর্ণ কন্যা বিবাহ করে । বিবাহের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই, কাত্যায়নী তাহার উগ্রস্বভাবের পরিচয় দেন। তিনি বধূকে ঢেকির উপর উঠাইলেন এবং তাহার উপর কাপড় কাচা ও বাসন মাজার ভার অতিরিক্ত মাত্রায় চাপাইলেন। বধু নীরবে সহ করিল। কিছু দিন পর সুশীলা পিত্রালয়ে যাইয়া, শাশুড়ীর দয়ঙ্গমায়ার বেশ সুখ্যাতি করিল। তাহার পিতামাতা, ইহা শুনিয়া সুখী হইলেন । ছয় মাস পর সুশীলা আবার শ্বশুরালয়ে আসিল । সে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিতে ভাল বাসিত ; বৈরাগী বৈষ্ণব প্রভৃতি ভিখারীকে কখনও বিমুখ করিত না ; শাশুড়ীঠাকুরাণী সাতদিনের জন্য যে তৈল, লবণ, মসল্লা ও রন্ধন-কাষ্ঠ নির্দিষ্ট করিয়া দিতেন, তাহাতে সে পাচ দিনের অধিক চালাইতে পারিত না ; সে পিত্রালয়ে ও স্বামীর নিকট পত্র লিখিত ; এবম্বিধ কারণে, সে শাশুড়ীর চক্ষুশুল হইয়া উঠিল। শাশুড়ী তাহার জন্য ছিন্নবাসপরিধান ও শাকান্ন-ভোজন ব্যবস্থা করিলেন । কাত্যায়নী, শ্বেত পদ্মের ন্যায় শুভ্রবর্ণ হইলেও, র্তাহার অন্তঃকরণ, ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল । তিনি দিন দিনই ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিতে লাগিলেন। তিনি সমস্ত দিনই ఫిలి