পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । আছে, তাহাতেই, তোমাদের জীবন বেশ চলিবে ; পথে এস মা ! আর কাজ নাই ; অর্থ না থাকিলেও, রাধারাণীই তোমাদিগকে অন্ন দান করিবেন। মা ! শ্ৰীবৃন্দাবন স্বামীর শ্ৰীপদ-প্রান্তে আশ্রয় লও, ব্যাকুল হও ; সরল হও ; প্রার্থনা কর, যেন ভবিষ্যজন্মে আর এরূপ ঘুণিত জীবন যাপন করিতে না হয় । সাধ্বী স্ত্রীর মনে যে আনন্দ, সে স্বৰ্গীয় ভাব অনুভব করিবার শক্তি, তোমাদের আছে কি ? তোমরা কপট ও কুটিল ; বিলাসিনী ও কুহকিনী এবং যাবতীয় জটিল রোগের জন্মভূমি ! মা ! কি প্রয়োজন ! অর্থেীপার্জনের জন্য এরূপ মায়ার জাল বিস্তার করিবার প্রয়োজনীয়তা কি ? চল, মা ! আমার সঙ্গে শ্ৰীবৃন্দাবনধাম চল। এই কুসংসর্গ পরিত্যাগ কর। হিন্দু বিধবার স্যায়, ব্রহ্মচৰ্য্যাবলম্বনপূর্বক, তদগত চিত্তে ভগবানের উপাসনায় কাল কৰ্ত্তন কর । মদ্য, মাংস, ও মৎস্য স্পর্শ করিলেও, মহাপাপ বিবেচনা করিবে ; যথাশক্তি পরোপকার কর এবং স্থচিন্তা ও সপ্তাবে আপন আপন হৃদয় পূর্ণ কর। তবে আমি, তোমাদিগকে রাধা-রাণীর দাসী করিতে পারিব । বিল্বমঙ্গলের “চিন্তামণি” ত, তোমাদেরই মত বেশ্য ছিলেন ; তিনিও ত শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমলাভে বঞ্চিত হন নাই ! চিন্তামণির স্যায় সরল ও ব্যাকুল হও । “রাধাশ্যাম”, অপরাধ মার্জন কর,” এরূপ প্রার্থনা কর । এই সকল উপদেশ শ্রবণ করিয়া, জনৈক বারবনিতা ఇ\చి