পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । এই অধঃপতিত দেশে, অর্থকরী বিদ্যা, আর লুপ্ত অথবা স্বপ্ত ধৰ্ম্মভাব-জাগরণ, উভয়েরই সমান প্রয়োজন । রাজ-প্রসাদে, নগরে নগরে, পল্লীতে পল্লীতে, বালক-বালিকার শিক্ষার জন্য, বিদ্যালয় স্থাপিত হইতেছে ; ইহা মঙ্গলের কথা বটে, কিন্তু ভারতীয় নব্য নর নারী, মনুষ্যত্বের হিসাবে, কেন যে পশ্চাৎ নিপতিত, ইহা আমার বুদ্ধির অতীত ! বিদ্যালয়, অর্থোপার্জনের যন্ত্র প্রস্তুত করে, কিন্তু প্রকৃত “মানুষ” স্মৃষ্টি করে না কেন ? ' ভারতীয় বিদ্যালয়, প্রায়ই শিক্ষিত-প্রবঞ্চক, অহঙ্কার, ব্যভিচারী, স্বার্থপর, ভক্তি-প্রীতি-সত্য ও সরলত শূন্য, অপদার্থ জীব সৃষ্টি করে, কিন্তু স্বাৰ্থত্যাগী, উদার-হৃদয়, সংঘত ও দেবস্বভাব মানব সৃষ্টি করে না কেন । এবম্বিধ চিন্তায় নারায়ণ নিতান্ত পরিতপ্ত হইলেন এবং ভারত-বাসীর আত্মার অধঃপতন চিন্তা করিতে করিতে, স্থানান্তরে যাত্রা করিলেন । ১০ । ছাত্রাবাস । নারায়ণ, ছাত্রাবাস সমূহ অলক্ষ্য ভাবে পরিদর্শন করিলেন । বালক, যুবক ও প্রৌঢ় সর্বপ্রকার ছাত্রই, তাহার দৃষ্টি-গোচর হইল ; দেখিলেন, অনেক ছাত্র অমনোযোগী e অধৰ্ম্ম-পরায়ণ ; কেহ বা বিলাসী ও উচ্ছ জ্বল-প্রকৃতি ; কেহ বা স্থির-ধীর ও অভিনিবেশ-সম্পন্ন ; কেহ বা, ঈশ্বরে ও দেব-দ্বিজে ভক্তিমান ; ইহা দৰ্শন করিয়া, তিনি, কোমল-মতি ছাত্রগণকে কতিপয় 之8°