পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । গণেশ গাইতে লাগিলেন :-— “এমন সুধার হরিনাম, হরি বল না ! সাধের পণে কিনবে হরি, সাধ কেন তোর হলো না ! ( পাপী তাপী নাইকোরে বিচার ) হরি ডাকলে পরে তার, করুণার তুলনা নাহি আর, প্রেমে হওরে মাতোয়ারা, মিছে মদে ভুলে না।” হলধর । আহ ! “হরিনাম” কতই মধুর বোধ হইতেছে ! এমন ত কখনও হয় নাই ! আমি ধন্য! আমার এ পাপ-পুরী ধন্য ! হরি ; এ নরাধমে কৃপা করিবে কি ? আমি মহাপাপী, মহাপাষণ্ড, কলির বরপুত্র, নরকের কীট, জ্ঞান-হীন ও ভক্তি-হীন ; তোমাকে ডাকিতে আমার অধিকার আছে কি ? ঠাকুর, আপনি নিশ্চয়ই ছদ্মবেশী দেবতা ; মোহিনীও নিশ্চয়ই দেবী ; এ পাষণ্ডকে মুক্ত করার জন্যই, আপনার নরাধমের জালয়ে আগমন করিয়াছেন । আমি যেন আপনাদের হরির দাস হইতে পারি। প্রিয় বন্ধুগণ, এ পাষণ্ড হলধরের শেষউপদেশগুলি গ্রহণ করিও,—“কুসংসর্গই যাবতীয় অনর্থের মূল ; ধৰ্ম্ম ভিন্ন জীবের অন্য গতি নাই ; ধৰ্ম্মই ইহকাল ও পরকালের সহায় ; আর ইন্দ্রিয়-সংযমই সর্বপ্রধান ব্ৰত ; ইহার উপরই জীবের মুক্তি প্রতিষ্ঠিত । বন্ধুগণ, তোমরা ভারতবাসীর হাহাকার, অভাব, অশান্তি ও অধৰ্ম্মানুরাগ দূর করিও ; আমি হতভাগ্য, পাষণ্ড, আর সংসারে থাকিব না ; তোমরা মায়ের সুসস্তান হইও ।” 8 Հ