পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। কোনও চিন্তা করিও না ; ভগবানে আত্ম-সমৰ্পণ কর ; তোমাদের সুখের সময় অতি নিকটবৰ্ত্তী ; এক্ষণে আমাদিগকে বিদায় দাওঁ? এই বলিয়া নারায়ণ, নারদ ও গণপতিসহ স্থানান্তরে যাত্রা করিলেন । । - হলধর বাবুর অভাবনীয় পরিবর্তন দর্শনে, নারায়ণের মনে এই চিন্তার উদয় হইল,—“হায় ! এ দেশের অধিকাংশ উচ্চপদস্থ লোকই ত দেব-দ্বিজে ভক্তিশূন্য এবং ঐহিক সুখসম্ভোগে ব্যতিব্যস্ত ; অনেকেই ত উচ্ছ খলপ্রকৃতি ও পারলৌকিক চিন্তায় সম্পূর্ণ উদাসীন ? আহ ! এই বৃত্তান্তশ্রবণে, কলুষময় একটি জীবনও যদি স্বপথগামী হয়, তবে আমার কতই না আনন্দের বিষয় হইবে ?” হলধর বাবুর বাটীর অপূর্ব ঘটনা চতুৰ্দ্দিকে প্রচারিত হইল । কেহ বলিল, মোহিনী মায়াবিনী” ; কেহ বলিল, “না তা নয়, নিশ্চয়ই মোহিনী দেব-কন্যা । ইন্দ্রিয়-পরায়ণ হলধর, আজ হরিপরায়ণ ! যক্ষ, আজ কল্প-তরু ! দেবী না হইলে কি এরূপ হয় ?” এ দিকে হরি-পরায়ণ হলধরবাবু দত্তক পুত্র গ্রহণ করিয়া, তাহাকে উপযুক্ত অভিভাবকের হস্তে সমর্পণ করিলেন। অনন্তর তিনি “দেব-সেবা” ও “দেবীর অন্ন-ক্ষেত্রের” জন্য, বার্ষিক পঞ্চাশ হাজার টাকা আয়ের সম্পত্তি লিখিয়া দিয়া, শ্ৰীবৃন্দাবনবাসী হইলেন। তথায়, তদ্‌গতচিত্তে ভগবানের উপাসনা, সাধু-সেবা ও সাধু-প্রসঙ্গে দিন যাপন করিতে লাগিলেন । 森 8*