পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । “বিমল, আমি চারি বৎসর পরে বাটতে আসিলাম, কোথায় তোমার মধু-মাখা কথা শুনিয়া ও হান্ত-মুখ দেখিয়া সুখী হইব, তুমি কিনা, মান-মুখে বসিয়া রহিলে ! এক্ষণে কি তোমার এরূপভাবে বসিয়া থাকা উচিত ? এই দেখ, তোমার জন্য সোণার বালা আনিয়াছি ; কেমন হয়েছে, বল দেখি ?” অমনি পাপীয়সী। ক্রোধে গৰ্জ্জিয়া উঠিয়া, বালাজোড়া ছুড়িয়া ফেলিল স্বামিপ্রদত্ত স্নেহের উপহার, যে রমণী ক্রোধে ছুড়িয়া ফেলিতে পারে, তাহার প্রকৃতি কিরূপ, পাঠক-পাঠিকাগণই মীমাংস করিবেন। যদু ক্রোধে কঁাপিতে লাগিলেন ; পরে ক্রোধ-সম্বরণপূর্বক পুনরায় বলিলেন, “বিমল! তোমার কি হয়েছে, বল না ? আমিই বা কি অপরাধ করিয়াছি ?” বিমলার কঠিন প্রাণ কিছুতেই কোমল হইল না । কিয়ও কাল উভয়েই নীরব রহিল । অতঃপর বিমলার দংশন আরম্ভ হইল ঃ—“মিনসের বে করবার সাধ হয়েছিল ; এক্ষণে কুটুম্বিত ক’ত্তে এসেছেন ; তোমাকে এ ঘরে কে আসতে বলেছিল ?” যত্ন ভাবিলেন, এই দুপুর রাত্ৰিতে কি পিশাচীর সহিত ঝগড়া করিয়া, লোক হাসাইব ? তিনি ক্রোধ-সম্বরণ পূর্বক ধীরে ধীরে বলিতে লাগিলেন, “তুমি চিরকেলে মুখর ; তোমার দয়া-মায়, বুদ্ধি-বিবেচনা কোন কালেই নাই ; মনে করিয়ছিলাম, আমার দীর্ঘ প্রবাসে, তোমার প্রকৃতির কিছু পরিবর্তন ঘটিয়া থাকিবে ; এক্ষণে দেখি, পূর্বেও যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে । হায় ! আমার স্যায় দুর্ভাগ্য লোকের চিরপ্রবাসই শাস্তি-দায়ক। ć о