পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । “বেশ করি, একশত বার করব ; আমার কি করবি ? তোর ঘরে আগুন দিয়ে, একদিকে চলে যাব। মিসে পরের কথা বেশ শুনতে পারে, আমার কথা তার কাণে ধরে না,” এই বলিয়া, বিমল ক্রোধে কাদিতে কঁাদিতে, শয্যা হইতে উঠিল এবং সজোরে দরজা খুলিয়া, অন্য গুহে যাইয়া শয়ন করিল ; যদুনাথও কোনরূপ বাধা দিলেন না । নারায়ণ দেখিলেন, এ হতভাগ্য দেশে, আজ কাল এইরূপ ভুজঙ্গীর সংখ্যা নিতান্ত কম নয়! অনেক গৃহেই ইহার বিরাজ করিয়া থাকে ! তবে কোথাও টোড়া, কোথায়ও বা বোড়া ; কোথাও কেউট, কোথায় ও বা গোথুরা, এইমাত্র বিশেষ । ভারত-রমণীগণের এরূপ অভাবনীয় তাধঃপতন দর্শন করিয়া, নিতান্ত ব্যথিতমনে, তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, “হায় ! কি দুৰ্দ্দিন ! এই সকল কাল-ভুজঙ্গীর দংশনে, দুর্বল ভারতসন্তানগণ, দিন দিন হীন-বল ও হীন-বুদ্ধি হইতেছে ! তাহদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ হইতেছে না! তাহার মরমে মরিয়া, কি অসুখ ও অশান্তির জীবন যাপন করিতেছে ! হায় ! মুখরা ভাৰ্য্য সাক্ষাৎ কাল-ভুজঙ্গী ! ইহার পুরুষের অকাল বাৰ্দ্ধক্য আনয়ন করে, সংসারে অশান্তির বীজ বপন করে এবং দুর্ভাগ্য স্বামীর জীবনকে অসার ও অকৰ্ম্মণ্য করিয়া তোলে। কথিত আছে,—- যস্ত ভাৰ্য্যা বিরূপাক্ষ কশ্মলা কলহ-প্রিয়া, উত্তরোত্তরবাদাস্য সা জরা ন জরা জরা । @文