পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । রাখিবে, অল্পব্যয় করিবে, মঙ্গলাচারে তৎপর হইবে, সকল কৰ্ম্মেই অস্বতন্ত্র থাকিবে, বালো, যৌবনে ও বাৰ্দ্ধক্যে, পিতা, ভৰ্ত্ত ও পুত্রের বশে রহিবে ; যখন পড়ি,—স্ত্রীলোকদিগের পৃথক যজ্ঞ, ব্রত ও উপবাস নাই, কিন্তু পতিকে যে সেবা করে, সেই স্বর্গে আদৃত হয় ; যখন পড়ি,—অর্থের সংগ্রহে ও ব্যয়-সাধনে, নিজ শরীর ও গৃহ-দ্রব্যাদির শুদ্ধি-বিধানে, অন্ন-পাক করণে, এবং গৃহোপকরণের পর্য্যবেক্ষণে, সৰ্ব্বদা স্ত্রীজাতিকে নিয়োজিত । রাখিবে ; যখন পড়ি,—যে কামিনী কদাপি কায়মনোবাক্যে পতির ব্যভিচার করে না, সে ইহলোকে সাধুবাদ এবং পরলোকে স্বামীর সহিত স্বৰ্গলাভ করিয়া থাকে,--তখনই অশ্রুতে বক্ষঃস্থল ভাসিয়া যায়, তখনই ভাবি, আমাদের কি ছিল, আর এক্ষণে কি হইতে চলিল !” আমাদের ভাগ্য-দোষে, আর্য্য-ঋষি-প্রণীত সেই সকল স্ত্রীনীতি-তত্ত্ব, এ দেশে আজ কাল উপেক্ষিত হইলেও, নব রাজ্য জাপান, তাহা সাদরে গ্রহণ করিয়াছেন। জাপানের সে স্ত্রীশিক্ষা-নীতি কি আনন্দ-প্রদ ! আমরা পাঠক পাঠিকাগণকে তাহার কিয়দংশ উপহার প্রদান করিতেছি ঃ— জাপানের স্ত্রী শিক্ষা-নীতি। ১ । “জাপানে প্রত্যেক বালিকার যোগ্য বয়সেই বিবাহ দিতে হইবে। জাপানী মাতা পিতা,—নিজ পরিবার বা আত্মীয়স্বজন বংশে কন্যার বিবাহ দিতে পারিবেন না । 建登