পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । আজ মলিন-বদন ও চিন্তাকুল কেন ? ভগবন! আমার আর কিছুই জগতে প্রার্থনীয় নাই ; তাহাকে নিরাময় ও প্রফুল্ল দেখিলেই, আমার নারীজীবনের যাবতীয় আকাঙক্ষ পূর্ণ হয়। মধুসূদন, আমার স্বামীকে শান্তি দাও । শাক ভাত খেয়ে, কুটীরে থেকেও যদি স্বামী সেবা করিতে পারি, স্বামীকে সুখে রাখিতে পারি, তাহার মুখে হাসি দেখিতে পাই, তাহা হইলেই আমার সব হ’ল, তাহ হইলেই আমার সুখ ! মধুসূদন, আমি ধন চাই না, জন চাই না, কেবল স্বামীর প্রাণে শান্তি দেখিতে চাই ; আমি অবলা ; আমার শক্তি নাই, সামর্থ্য নাই, তুমিই আমার বল, তুমিই আমার ভরসা।” চিন্তামণি, এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে, “নমো ভগবতে বাসুদেবায়,” এই বলিয়, তদগতচিত্তে ও নিমীলিতনেত্ৰে নারায়ণের উপাসনা করিতে লাগিলেন। নারায়ণ, তাহার তন্ময়ত ও অপূর্বভাবদর্শন করিয়া, বিস্মিত হইলেন ; তাহার নয়ন-যুগল হইতে প্রেমাশ্র বিগলিত হইতে লাগিল । তিনি ভাবিতে লাগিলেন, হায় রে ; এ দেশের রমণীকুল যদি চিন্তামণির স্যায় হইত, তবে ভূ-স্বৰ্গ-ভারতের কখনও এরূপ অধঃপতন ঘটিত না ; আর আমিও গোলোকধাম পরিত্যাগ করিয়া, দরিদ্র ব্রাহ্মণ-বেশে, প্রাণের জালায়, নারদ ও গণপতি সহ, এই অভিনব ভূ-ভাগদর্শন করিতে আসিতাম না ! কিয়ৎকাল পরে ভুট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের নিদ্রা ভঙ্গ হইল। তিনি দেখিলেন, চিন্তামণি র্তাহার পাশ্বে বসিয়া, তাহাকে ব্যজন や、