পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । বৃদ্ধ ক্ৰন্দন করিতেছেন, আর ক্ষান্তমণি তীব্র গালি বর্ষণ করিতেছে, ইহা বুঝিতে পারিয়া, নারায়ণ, নিতান্ত দুঃখিত হইলেন । অনন্তর দুঃখাবেগ-সম্বরণ পূর্বক, তিনি বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা ঠাকুরুন, কঁদছেন কেন ? আপনার কান্না শুনে, আমারও কান্না আসছে” বৃদ্ধ কেঁদে কেঁদে উত্তর করিলেন, “ঠাকুর, কি বলব, বড় সাধ ক’রে, ছেলের বিয়ে দিয়ে, বউ এনেছিলেম ; বউ আমার কথার বাতাসও সহ্য করিতে পারে না ! আমি কেবল বলেছিলাম, বউ, এক্ষণে উঠ, আর কতক্ষণ শুয়ে থাকবে ? এখনও গোবর ছড়া পড়েনি, ঘর লেপ হয়নি, বেলা ত চা’র দণ্ড হ’ল ! এমন করলে কি ঘরে লক্ষী থাকে ?” এই কথা শুনিবামাত্ৰ, বধূ গৰ্জ্জিয় উঠিয়া, প্রলয়কাগু ঘটাইতেছে । ঠাকুর, কি বলব,—“জনম দুঃখিনী সীতার দুঃখে গেল কাল, কি দিব রঘুনাথের দোষ, আমার দুঃখেরি কপাল” ; চিরটা জীবন, কেবল কেঁদে কেঁদেই কাটাইলাম ; আর জীবনে সাধ নাই ; আর কষ্ট সহ হয় না। এখন, “আর কিছু নাহি চাই, যুগল পদে দিও ঠাই,” এই কথা বলিতে বলিতে বৃদ্ধার মুখে আর কোনও কথা সরিল না ; কণ্ঠ-রোধ হইল ; আর নয়ন-যুগল হইতে অনর্গল বাষ্প-বারি বিগলিত হইতে লাগিল । বৃদ্ধার অশ্রুপাত-দর্শন ও করুণ বাক্য শ্রবণ করিয়া, নারায়ণ নিতান্ত ব্যথিত হইলেন এবং ধীরে ধীরে তাহাকে দুই একটি প্রবোধ বাক্য বলিতে লাগিলেন। পাপীয়সী ক্ষান্তমণি কিছুমাত্র १२