পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । আর বলিতে লাগিল,-“এ বিট্‌লে বামুন আর তোমার মা আমাকে প্রহার করিয়াছে ; আমি আজ গলায় দড়ি দিয়ে মরব।” এই সময় নারায়ণ, অদৃশ্য হইলেন। ক্ষান্তমণির কপট ক্ৰন্দনে বিমুগ্ধ হইয়া, বৃদ্ধার সুযোগ্য পুত্র, বিশু পণ্ডিত, বলিতে লাগিলেন, “বলি মা, তুমি কি আমাকে দেশত্যাগী করবে নাকি ? এমন ক’রে কি মারতে হয় ? একেই ওর শরীর খারাপ, কথা কইতে পারে না,—গায় বল পায় না ;–ওকে কি এমনি ক’রে সাজ দিতে হয় ? আচ্ছা, তোমার আক্কেলটা কি বল দেখি ? একটা ভিখারী নাকি আবার জুটিয়ে এনেছ ? তুমি বুড় হ’চ্ছ, আর দিন দিন তোমার বুদ্ধি লোপ হচ্ছে! এমন বউ ঘরে এনেও কি না, তাহার মৰ্ম্ম বুঝতে পারলে না।” বিশ্বনাথের মাত উত্তর করিলেন, “দেখ রে বিশু ! তুই যে মালিনী মাসীর মেড়া হলি! ও যা বলবে, তুই তাই বিশ্বাস করবি ? মা জগদম্বা, আমার কি উপায় হলে মা ? এ বুড় বয়সে আর কোথা যাব মা !” বিশু পণ্ডিত বলিলেন, নে, কাদিস “নে বুড়ী, চুপ্‌ কর।” অমনি বৃদ্ধ আবার নীরবে কাদিতে লাগিলেন। নারায়ণ অদৃশ্যভাবে গুণধর পুত্রের মাতৃ-ভক্তি দর্শন করিতেছিলেন ; বুদ্ধাকে কঁাদিতে দেখিয়া, তিনিও অশ্র-সম্বরণ করিতে পারিলেন না । কিয়ৎকাল পরে ক্ষান্তমণি শান্ত মূৰ্ত্তি ধারণ করিল। বিশ্বনাথ বলিলেন, “বলি, ওগো, আজ আমাদের “রান্নাবাড়া” হবে না ?” ক্ষান্ত উত্তর করিল, “আজ আমার শরীর ও মন বডড ግ8