পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । আমার বন্ধু, আমি আপনাকে তাহার নামে এক পত্ৰ দিব ?” এই বলিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ উহা লিখিয়া ফেলিলেন এবং তন্মধ্যে এই * কয়েকটা কথাও লিখিয়া দিলেন, “দেখিলাম, এই অজ্ঞাতনামা হিন্দুআমাদের সকল পণ্ডিতগুলিকে একত্ৰ করিলে যাহা হয়, তদপেক্ষাও বেশী পণ্ডিত ৷” এই পত্ৰখানি এবং অধ্যাপক-প্রদত্ত একখানি টিকিট লইয়া স্বামিজী চিকাগো প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন এবং নির্বিবাদে প্ৰতিনিধিরূপে পরিগৃহীত হইলেন । অবশেষে মহাসভা খুলিবার দিন সমাগত হইল, এবং স্বামী বিবেকানন্দ প্ৰাচ্য পতিনিধিগণের শ্রেণী:মধ্যে স্থান গ্ৰহণ করিয়া প্ৰথম দিবসের অধিবেশনে সভামঞ্চে পদার্পণ করিলেন । তঁহার উদ্দেশ্য সফল হইল, কিন্তু সেই বিরাট শ্রোতৃসজেঘরু দিকে দৃষ্টি পড়িলামাত্র এক আকস্মিক উদ্বেগ তাঁহাকে অভিভূত করিল। অপর সকলে বক্তৃতা প্ৰস্তুত করিয়া আনিয়াছিলেন ; আঁহার কিছুই ছিল না । সেই ছয় সাত সহস্ৰ নরনারীর বিপুল সঙ্ঘকে তিনি পলিবেন কি ? সমস্ত প্ৰাতঃকাল ধরিয়া তিনি তাঁহার পরিচয়ের পালা আসিলেষ্ট ক্রমাগত উহ! পিছাইয়া দিতে লাগিলেন, প্ৰতিবারই সভাপতি মহাশয়ের কানে কানে বলিতে লাগিলেন, “আর কাহাকেও অগ্ৰে বলিতে দিন।” অপরাঙ্গেও এইরূপ হইল । অবশেষে প্ৰায় পাঁচটার সময় ডাক্তার ব্যারোজ মহােদয় উঠিয়া তাঁহাকেই পরবর্তী বক্তা বলিয়া নির্দেশ । ক্লারিয়া দিলেন । এই ঘোষণা বিবেকানন্দের স্নায়ুমণ্ডলীর স্থিরতা সম্পাদন করিয়া, তঁহার সাহস উদ্বোধিত করিয়া দিল, এবং\তনি তৎক্ষত্থাৎ ক্ষেত্রোপযোগী