পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । স্বীকার করেন নি, আর এখন ভারতে একজনও বৌদ্ধ দেখতে পাওয়া যায় না। অন্যান্য দার্শনিকরা সকলেই অল্প বিস্তর সামাজিক কুসংস্কারগুলোর ধামাধারা ছিলেন ; তাঁরা যতই উচুতে উঠে থাকুন না কেন, র্তাদের মধ্যে একটু আধটু চিল শকুনির ভাব ছিলই । গুরু মহারাজ যেমন বলতেন, ‘চিল শকুনি এত উচুতে ওঠে যে, তাদের দেখা যায় না, কিন্তু তাদের নজর থাকে গো-ভাগাড়ে, কোথায় এক টুকরা পচা মাংস পড়ে আছে!” 普 来 号帐 প্ৰাচীন হিন্দুরা অদ্ভুত পণ্ডিত ছিলেন-যেন জীবন্ত বিশ্বকোষ । তঁরা বলতেন,- পুস্তকস্থা তু যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম | কাৰ্য্যকালে সমুৎপন্নে ন স বিদ্যা ন তদ্ধনম ॥-চাণক্যনীতি । বিদ্যা যদি পুথিগত হয়, আর ধন যদি পরের হাতে থাকে, কাৰ্য্যকাল উপস্থিত হলে সে বিদ্যাও বিদ্যা নয়, সে ধনও ধন নয় । শঙ্করকে অনেকে শিবের অবতার বলে জ্ঞান করে থাকে { ১০ই জুলাই, বুধবার । ভার৩ে লক্ষ ছ। কৈাটি মুসলমান আছে-তাদের মধ্যে কতক সুকী আছে । এই সুফীরা জীবাত্মাকে পরমাত্মার সহিত অভিন্ন জ্ঞান করে। আর তাদের দ্বারাই ঐ ভাব ইউরোপে এসেছে। তাঁরা বলে, ‘আনল হক্‌' অৰ্থাৎ আমিই সেই সত্যস্বরূপ । তবে তাদের ভিভন্ধু বহিরঙ্গ বা প্ৰকাশ, এবং অন্তরঙ্গ বা গুহ মত আছে। মহম্মদ নিজে অবশ্য,এটা বিশ্বাস করতেন না। N