পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । কষ্টের অবসান হয়। এই অজ্ঞানের তিরোভাব তখনই হতে পারে, যখন আমরা জানতে পারি যে, ব্ৰহ্ম আর আমি এক ; অর্থাৎ আপনাকে আত্মার সঙ্গে অভিন্ন বলে দেখ, মানবীয় উপাধিগুলার সঙ্গে নয় । দেহাত্মবুদ্ধি দূর করে দাও দেখি, তা হলেই সব দুঃখ দূর হবে । মনের জোরে রোগ ভাল করে দেওয়ার এই রহস্য । এই জগৎটা একটা হিপ'নেটিজমের ব্যাপার ; নিজের ওপর থেকে এই হিপ'নেটিজমের আবেশটি দূর করে ফেল, তা হলেই তোমার আর কষ্ট থাকবে না । মুক্ত হতে গেলে প্ৰথমে পাপ ত্যাগ করে পুণ্য উপাৰ্জন করতে হবে, তার পর পাপপুণ্য উভয়ই ত্যাগ করতে হবে । প্ৰথমে রজঃ দ্বারা তন্মকে জয় করতে হবে, পরে উভয়কেই সত্ত্বগুণে লয় করতে হবে, সর্বশেষে এই তিন গুণকেই অতিক্রম করতে হবে। এমন একটা অবস্থা লাভ কর, যেখানে তোমার প্রতি শ্বাসপ্ৰশ্বাস তার উপাসনাস্বরূপ হবে । যখনই দেখা যে, অপরের কথা থেকে কোন জিনিস শিখছি, জেনো যে পুৰ্ব্বজন্মে তোমার সেই বিষয় সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা হয়েছিল ; কারণ অভিজ্ঞতাই আমাদের একমাত্র শিক্ষক । যতই ক্ষমতা লাভ হবে, ততই দুঃখ বেড়ে যাবে ; সুতরাং বাসনাকে একেবারে নার্শ করে ফেল। কোন বাসনা করা যেন ভীমরুলের চাঁকে কাটি দেওয়া । আর বাসনাগুলো সোণার পাত-মোড়া বিষের বড়িএইটে জানার নামই বৈরাগ্য । “মন ব্ৰহ্ম নয়।” “তত্ত্বমসি-তুমিই সেই, “অহং ব্ৰহ্মাস্মি’-আমিই ব্ৰহ্ম । যখন মানুষ এইটো উপলব্ধি করে, তখন “ভিদ্যতে হৃদয়গ্ৰন্থি to