পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । কৰ্ম্ম বা উপাসনার ফল এইটুকু যে, ওতে তোমার স্বরূপ পুনরায় উপলব্ধি করিয়ে দেয়। আত্মা যে দেহ এইটে মনে করাই সম্পূর্ণ ভ্ৰম ; সুতরাং আমরা এই শরীরে থাকৃতে থাকৃতেই মুক্ত হতে পারি। দেহের সঙ্গে আত্মার কিছুমাত্ৰ সাদৃশ্য নাই। মায়ার অর্থ “কিছু না” নয়, মিথ্যাকে সত্য বলে গ্রহণ করা । ১৭ই জুলাই, বুধবার। রামানুজ জগৎপ্ৰপঞ্চকে চিৎ ( জীবাত্মা বা সাধারণ ख्ॉन्डूभि ), অচিৎ ( জড় প্রকৃতি বা জ্ঞানের অধোভূমি ), এবং ঈশ্বর ( জ্ঞানাতীত ভূমি বা তুরীয় ভূমি)-এই তিন ভাগে ভাগ করেছেন। শঙ্কর কিন্তু বলেন, চিৎ বা জীবাত্মা, এবং পরমাত্মা বা ঈশ্বর, এক বস্তু । ব্ৰহ্ম সত্যস্বরূপ, জ্ঞানস্বরূপ, অনন্তস্বরূপ ; ঐ সত্য, জ্ঞান ও অনন্ত তার গুণ নয়। ঈশ্বরকে চিন্তা করতে গেলেই তাকে বিশিষ্ট করা হয় ; তার সম্বন্ধে বড় জোর। ‘ওঁ তৎসৎ’, অর্থাৎ তিনি সত্তাস্বরূপ, তিনি অস্তিস্বরূপ, এই মাত্র বলা যেতে পারে । শঙ্কর আরও জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি সত্তাকে আর সব বস্তু হতে পৃথক করে দেখতে পার ? দুটা বস্তুর মধ্যে বিশেষ কোনখানে ? ইন্দ্ৰিয়জ্ঞানে নয়, কারণ তা হলে সব জিনিসই এক রকম বোধ হত । আমাদের বিষয়ঞ্জান একটার পর আর একটা, এই ক্রমে হয়ে থাকে । একটা বস্তু কি তা জানতে গেলেই, সঙ্গে সঙ্গে সেটা কি নয় তাও আমাদের জানতে হয়। দুটী বস্তুর মধ্যে পার্থক্যগুলি আমাদের স্মৃতির মধ্যেই অবস্থিত, আর মস্তিষ্কে যা সঞ্চিত রয়েছে, তারই সঙ্গে তুলনা করে আমরা এগুলি জানতে পারি। ভেদ, বস্তুর স্বরূপের মধ্যে নেই, 8ை