পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । থেকে মনের উৎপত্তি, কেহবা মন থেকে দেহ হয়েছে বলে থাকে । উভয় পক্ষেই যুক্তির সমান মূল্য, আর উভয় মতই সত্য। আমাদের ঐ দুটোরই পারে যেতে হবে-এমন জায়গায় যেতে হবে, সেখানে দেহ মন এ দুষ্ট নেই। এই যে ক্রম বা পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য এও মায়া । ধৰ্ম্ম যুক্তিবিচাবের পারে, ধৰ্ম্ম অতিপ্ৰাকৃতিক। বিশ্বাস অর্থে কিছু মেনে লওয়া নয়—বিশ্বাসের অর্থ সেই চরম পদার্থকে ধারণ করা -এতে স্পাদয়কন্দরকে উদ্ভাসিত করে দেয় । প্ৰথমে সেই আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে শোন, তারপর বিচার কর-বিচার দ্বারা উক্ত আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে কতদূর জানতে পারা যায়, তা দেখ ; এর উপর দিয়ে বিচারের বন্যা বয়ে যাক।--তার পর বাকি যা থাকে, সেইটাকে গ্ৰহণ কর । যদি কিছু বাকি না থাকে, তবে ভগবানকে ধন্যবাদ দাও যে তুমি একটা কুসংস্কার এড়ালে । আর যখন তুমি সিদ্ধান্ত করবে যে, কিছুতেই আত্মাকে উড়িয়ে দিতে পারে না, যখন আত্মা সর্বপ্রকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তখন তাকে দৃঢ়ভাবে ধরে থাক ও সকলকে ঐ আত্মতত্ত্ব শিক্ষা দাও । সত্য কখন ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি হতে পারে নাতাতে সকলেরই কল্যাণ হবে । সবশেষে, স্থিরভাবে ও শান্তচিত্তে তার উপর নিদিধ্যাসন কর বা তার ধ্যান করা, তোমার মনকে তার উপর একাগ্র কর, ঐ আত্মার সহিত নিজেকে একীভাবাপন্ন করে ফেল। তখন আর বাক্যের কোন প্রয়োজন থাকবে না, তোমার ঐ মৌন ভাবই অপরের ভিতর সত্য তত্ত্ব সঞ্চার করবে। বুখা বাক্যাড়ম্বরে শক্তিক্ষয় করো না, চুপ চাপ করে ধ্যান কর। আর বহির্জগতের গণ্ডগোলে যেন তোমার ব্যতিব্যস্ত না করে । যখন Ye