পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । কেবল সদা সৰ্ব্বদা সাধনে রত থাকলে, দ্বাদশ বর্ষে সিদ্ধিলাভ করতে পারে । এই সব মানসিক ব্যায়াম না করে কেবল ভক্তি দ্বারাও ঐ অবস্থায় যেতে পারা যায়, কিন্তু তাতে কিছু বিলম্ব হয় । মনের দ্বারা সেই আত্মাকে যে ভাবে দেখা বা ধরা যেতে পারে, তাকেই ঈশ্বর বলে । তাঁর সর্বশ্রেষ্ট নাম ও, সুতরাং ঐ ওঙ্কার জপ কর, তার ধান কর, তার ভিতর যে অপূর্ব অর্থসমূহ নিহিত রয়েছে, তা ভাবনা কর । সর্বদা ওঙ্কার জপই যথার্থ উপাসনা । ওঙ্কার সাধারণ শব্দ মাত্র নয়, স্বয়ং ঈশ্বরস্বরূপ। ধৰ্ম্ম তোমায় নূতন কিছুই দেয় না, কেবল প্ৰতিবন্ধগুলি সরিয়ে দিয়ে তোমায় নিজের স্বরূপ দেখতে দেয় । ব্যাধিই প্ৰথম মস্ত বিন্নসুস্থ শরীরই সেই যোগাবস্থা লাভ করবার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট যন্ত্রস্বরূপ { দৌন্মানন্ত বা মন খারাপ হওয়া রূপ বিস্ত্ৰটীকে দূর করা একরূপ অসম্ভব বললেই হয়। তবে একবার যদি তুমি ব্ৰহ্মকে জানতে পার, পরে আর তোমার মন খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকবে না । সংশয়, অধ্যবসায়ের অভাব, ভ্ৰান্ত ধারণ-এগুলিও অন্যান্ত বিস্ত্ৰ । 총 举 举 প্ৰাণ হচ্ছে দেহস্থ অতি সূক্ষ্ম শক্তি-দেহের সর্বপ্রকার গতির কারণস্বরূপ ৷ প্ৰাণ সৰ্ব্বশুদ্ধ দশটী-তন্মধ্যে পাঁচটা প্ৰধান, আর পাঁচটা অপ্রধান । একটী প্ৰধান প্ৰাণপ্ৰবাহ উপরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে, অপর গুলি নীচের দিকে ৷ প্ৰাণায়াম অর্থে শ্বাসপ্ৰশ্বাসের নিক্সমনের দ্বারা প্ৰাণসমূহকে নিয়মিত করা । শ্বাস যেন কাষ্ঠস্বরূপ, প্ৰাণ বাস্পস্বরূপ এবং শরীরটা যেন ইঞ্জিন ৷ প্ৰাণায়ামে তিনটি ক্রিয়া আছে or