পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । আমরা বদ্ধ-এ ভাব আমাদের স্বপ্নমাত্র । জাগো-বন্ধনটা সব চলে যাক। ঈশ্বরের শরণাপন্ন হও, এই মায়ামরু অতিক্রম করবার এই একমাত্র উপায় । “শাস্ত্রে বা মন্দিরে বৃথা অন্বেষণ ; নিজ হন্তে রজ্জ্ব যাহে আকর্ষণ । ত্যজি অতএব বৃথা শোকরাশি, ছেড়ে দাও রজ্জ্ব, বল হে সন্ন্যাসী, ওঁ তৎ সৎ ওঁ ৷” আমরা যে অপরের উপর দয়া প্ৰকাশ করতে পারছি, এ আমাদের একটা বিশেষ সৌভাগ্য-কারণ, ঐরূপ অনুষ্ঠানের দ্বারাই আমাদের আত্মোন্নতি হবে । লোকে যে কষ্ট পাচ্ছে, তার কারণ, তার উপকার করে আমাদের কল্যাণ হবে । অতএব দাতা দান করুবার সময় গ্রহীতার সামনে হাঁটুগেড়ে বসুন এবং নিজেকে ধন্য জ্ঞান করুন, গ্ৰহীতা সম্মুখে দাড়িয়ে থেকে দানে অনুমতি করুন। সব প্রাণীর পশ্চাতে সেই প্ৰভুকে দর্শন করে তাকেই দান কর । যখন আমরা আর মন্দ কিছু দেখতে পাব না, তখন আমাদের পক্ষে জগৎপ্ৰপঞ্চই । আর থাকবে না, কারণ, প্ৰকৃতির অস্তিত্বের উদ্দেশ্যই হচ্ছে আমাদিগকে এই ভ্ৰম হতে মুক্ত করা । অসম্পূর্ণতা বলে কিছু আছে, এইটে ভাবাই অসম্পূর্ণতার সৃষ্টি করা। আমরা পুৰ্ণস্বরূপ ও ওজঃস্বরূপ, এই চিন্তাতেই কেবল এটা দূর হতে পারে। যতই ভাল কাজ কর না কেন, কিছু না কিছু মন্দ তাতে লেগে থাকুবেই থাকবে। তবে সমুদয় কাৰ্য্য নিজের ব্যক্তিগত ফলাফলের দিকে দৃষ্টি না রেখে করে S, ୪ ଅଙ୍କ୍