পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । তঁর সম্বন্ধে কোন ধারণা, কোন প্ৰকার কল্পনা, ঠিক ঠিক হতে পারে না । কেবল “নেতি’, ‘নেতি’-এ নয়, ও নয়, এই বলেই তাকে বর্ণনা করা যেতে পারে, কারণ, তাকে চিন্তা করতে গেলেও সীমাবদ্ধ করতে হয়-সুতরাং সেটা আর ব্রহ্মের যথার্থ ভাব হল না । ইন্দ্ৰিয়গুলো দিবারাত্ৰ তোমায় ভুলজজ্ঞান এনে দিয়ে প্ৰতারিত করছে। বেদান্ত অনেক কাল পুর্বেই এই বিষয় আবিষ্কার করেন । আধুনিক বিজ্ঞান এই সবে ঐ তত্ত্বটা বুঝতে আরম্ভ করেছে। একটা ছবির প্রকৃতপক্ষে কেবল দৈৰ্ঘ্য ও প্ৰস্থ আছে। কিন্তু চিত্রকর ছবিটাতে কৃত্রিমভাবে গভীরতার ভাব ফলিয়ে প্ৰকৃতির প্রতারণার অনুকরণ করে থাকেন। দুজন লোক কখনও এক জগৎ দেখে না । চূড়ান্ত জ্ঞানলাভ হলে তুমি দেখতে পাবে,-কোন বস্তুতে কোন প্রকার গতি, কোন প্ৰকার পরিণাম নেই। কোন প্ৰকার গতি বা পরিণাম আছে, আমাদের এই ধারণাই মায়া । সমুদয় প্ৰকৃতিটা অর্থাৎ সমুদয় গতির তত্ত্বটাকে সমষ্টিভাবে আলোচনা কর । দেহ ও মন কেউই আমাদের যথার্থ আত্মা নয়---উভয়ই প্ৰকৃতির অন্তর্গত ; কিন্তু কালে আমরা এদের ভিতরের সার সত্য-যথার্থ তত্ত্বকে জানতে পারি। তখন আমরা দেহামনের পারে চলে যাই, সুতরাং দেহমানের দ্বারা যা কিছু অনুভব হয়, তাও চলে যায়। যখন তুমি এই জগৎপ্ৰপঞ্চকে দেখতে পাবে না, বা জানতে পারবে না, তখনই তোমার আত্মোপলব্ধি হবে । আমাদের বাস্তবিক প্রয়োজন। এই দ্বৈত বা আপেক্ষিক জ্ঞানকে অতিক্রম করা । অনন্ত মন বা অনন্ত জ্ঞান বলে কিছু নেই, কারণ, মন ও জ্ঞান উভয়ই সসীম । আমরা এক্ষণে আবরণের মধ্য Wo