পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । দিয়ে দেখছি।--তার পর ক্রমশঃ আবরণকে অতিক্রম করে আমরা আমাদের সমুদয় জ্ঞানের সার সত্যস্বরূপ সেই অজ্ঞাত বস্তুর কাছে পৌছুব । যদি আমরা একটা কার্ডবোর্ডের ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্য দিয়ে একখানা ছবি দেখি, তা হলে আমরা ঐ ছবির সম্বন্ধে একটা সম্পূর্ণ ভ্ৰান্ত ধারণা লাভ করি, কিন্তু তথাপি আমরা যা দেখি, তা বাস্তবিক ছবিটাই ৷ ছিদ্রটা আমরা যত বাড়াতে থাকি, ততই আমরা ছবিটার সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে থাকি । আমাদের নামরূপের ভ্ৰমাত্মক উপলব্ধি অনুসারে আমরা সত্য জিনিসটারই সম্বন্ধে বিভিন্ন ধারণা করে থাকি ! আবার যখন আমরা কার্ডবোর্ডাখানা ফেলে দিই, আমরা সেই একই ছবি দেখে থাকি, কিন্তু ছবিটাকে ঠিক ঠিক দেখতে পাই । আমরা ঐ ছবিটাতে মৃত বিভিন্নপ্রকার গুণ বা ভ্ৰমাত্মক ধারণা আরোপ করি না কেন, ছবিটার তার দ্বারা কিছু পরিবর্তন হয় না । এইরূপ আত্মাই সকল বস্তুর মূল সত্যস্বরূপআমরা যা কিছু দেখছি, সবই আত্মা ; কিন্তু আমরা যে ভাবে এদের নােমরূপাকারে দেখছি, সে ভাবে নয় । ঐ নােমরূপ আবরণের অন্তৰ্গত --মায়ার অন্তৰ্গত । ঐগুলি যেন দূরবীণের কাচের উপরের দাগ ; আবার যেমন সুৰ্য্যের আলোকের দ্বারাই আমরা ঐ দাগগুলি দেখতে পাই, সেইরূপ ব্ৰহ্মরূপী-সত্য বস্তু পশ্চাতে না থাকলে আমরা মায়াটাকেও দেখতে পেতাম না। স্বামী বিবেকানন্দ বলে মানুষটা ঐ দূরবীণের কাচের উপরকার দাগ মাত্র । প্রকৃতপক্ষে আমি সত্যস্বরূপ অপরিণামী আত্মা, SVY