পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । দূরবীণের কাচের দাগগুলি দেখে সূৰ্য্যকেও দাগযুক্ত মনে করাই আমাদের মুখ্য ভ্ৰম । সেই “আমি”-রূপ সুৰ্য্য কোন প্ৰকার বাহদোষে লিপ্ত নন-এইট জেনে রাখ, আর নিজেকে ঐ দাগগুলি তুলতে নিযুক্ত কর। মানুষের চেয়ে বড় প্ৰাণী আর কেউ নেই। কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও খ্ৰীষ্ট্রের ন্যায় মনুষের উপাসনাই সর্বশ্রেষ্ঠ উপাসনা । তােমার যা কিছুর অভাব বোধ হয়, তাই তুমি সৃষ্টি করে থাক-বাসনামুক্ত হও । “বাসনায় জগৎ সৃজন, কর জীব বাসনা বর্জন ৷” 蜂 崇 光、 普 দেবতারা ও পরলোকগীত ব্যক্তিরা সকলে এখানেই রয়েছেন— এই জগৎকেই তারা স্বৰ্গ বলে দেখছেন । একই অজ্ঞাতবস্তুকে সকলে নিজ নিজ মনের ভাব অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখছে । এই পৃথিবীতে কিন্তু ঐ অজ্ঞাত বস্তুর সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট দর্শন লাভ হতে পারে ; কখন স্বৰ্গে যাবার ইচ্ছা করে না--এইটেই সর্বাপেক্ষা অপকৃষ্ট ভ্ৰম । এই পৃথিবীতেও খুব বেশী পয়সা থাকা ও ঘোর দারিদ্র্য, উভয়ই বন্ধন-উভয়ই আমাদিগকে ধৰ্ম্মপথ থেকে-মুক্তিপথ থেকে দূরে রাখে। তিনটী জিনিস এ পৃথিবীতে বড় দুর্লভ-প্ৰথম, মনুষ্যদেহ (মনুষ্যমনেই ঈশ্বরের উৎকৃষ্ট প্ৰতিবিম্ব বিদ্যমান ;-বাইবেলে আছে, “মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূৰ্ত্তিস্বরূপ” ) । দ্বিতীয়, মুক্ত হবার জন্য প্ৰবল আকাঙ্ক্ষা । তৃতীয়, মহাপুরুষের আশ্রয়লাভ-যিনি স্বয়ং মায়া-মোহ-সমুদ্র পার হয়ে গেছেন, এমন মহাত্মাকে গুরুরূপে লাভ *

  • দুলভিং ত্রিয়মেবৈতৎ দেবানুগ্রহহেতুকম্।

মনুষ্যত্বং মুমুকুত্বং মহাপুরুষসংশ্রয়ঃ ৷ -বিবেকচুড়ামণি । w8