পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । ভিতরই সীমাবদ্ধ থাকে, ততদিন আমরা ঈশ্বরের জন্য কোন অভাববোধ করি না ; কিন্তু যখন আমরা এ জীবনে চারিদিক থেকে প্ৰবল ঘা খেতে থাকি, আর ইহজগতের সকল বস্তুতেই নিরাশ হই, তখনই উচ্চতর কোন বস্তুর জন্য আমাদের প্রয়োজন বোধ হয়ে থাকে, তখনই আমরা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে থাকি । ভক্তি আমাদের কোন বৃত্তিকে ভেঙ্গে চুরে দেয় না, বরং ভক্তিযোগের শিক্ষা এই যে, আমাদের সকল বৃত্তিগুলিই মুক্তিলাভ করবার উপায়স্বরূপ হতে পারে। ঐ সব বৃত্তিগুলিকেই ঈশ্বরাভিমুখী করতে হবে-সাধারণতঃ যে ভালবাসা অনিত্য ইন্দ্ৰিয়বিষয়ে নষ্ট করা হয়ে থাকে, সেই ভালবাসা ঈশ্বরকে দিতে হবে। তোমাদের পাশ্চাত্যাধৰ্ম্মের ধারণা হতে ভক্তির এইটুকু তফাৎ যে, ভক্তিতে ভয়ের স্থান নাই-ভক্তি দ্বারা কোন পুরুষের ক্ৰোধ শান্ত বা কাউকে সন্তুষ্ট করতে হবে না । এমন কি, এমন ভক্ত ও সব আছেন, র্যারা ঈশ্বরকে তঁদের নিজের ছেলে বলে উপাসনা করে থাকেনএরূপ উপাসনার উদেশ্য এই যে, ঐ উপাসনায় ভয় বা ভয়মিশ্র ভক্তির কোন ভাব না থাকে ৷ প্ৰকৃত ভালবাসায় ভয় থাকৃতে পারে না, আর যতদিন পৰ্য্যন্ত এতটুকু ভয় থাকবে, ততদিন ভক্তির আরম্ভ পৰ্য্যন্ত হতে পারে না । আবার ভক্তিতে ভগবানের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার, অথবা তার সঙ্গে কেনাবেচার ভাব কিছু নাই । ভগবানের কাছে কোন কিছুর জন্য প্রার্থনা ভক্তের দৃষ্টিতে মহা অপরাধ। ভক্ত কখনও ভগবানের নিকট আরোগ্য বা ঐশ্বৰ্য্য, এমন কি, স্বৰ্গ

  • दस्य कानों दद्धन नi ।

89